বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে অবৈধভাবে যমুনার চর কেটে বালু ও মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা। এ কাজের জন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতিও নেননি। তারপরও এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদফতর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীরব ভূমিকা পালন করায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভান্ডারবাড়ি ও ভুতবাড়ি গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ২০১৭ সালে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০০ মিটার তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ করে। ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম গত এক সপ্তাহ ধরে ভান্ডারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের ওই তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু ও মাটি কেটে বিক্রি করছেন। প্রতি ট্রাক মাটি ৪০০ টাকা ও বালু ৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
স্থানীয় আজিজার রহমান, মকবুল হোসেন, ইসমাইল হোসেন প্রমুখ বলেন, শুষ্ক মৌসুম তাই নদীর চর জেগে উঠেছে। চর থেকে বালু ও মাটি কাটছেন প্রভাবশালীরা। এখন এর প্রভাব বোঝা না গেলেও বর্ষা মৌসুমে ওই জায়গায় ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে তীর সংরক্ষণ প্রকল্প নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। তীর সংরক্ষণ প্রকল্প রক্ষা না হলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা অবিলম্বে বালু ও মাটি কাটা বন্ধ করতে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে শহিদুল ইসলাম বলেন, একটি ঈদগাহ মাঠ ভরাটের জন্য যমুনার চর থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। এজন্য প্রশাসনের কোনও অনুমতি তিনি নেননি।
বগুড়া পাউবো’র সহকারী প্রকৌশলী আসাদুল হক বলেন, যমুনার চর থেকে এভাবে মাটি কেটে নিলে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ক্ষতি হবে। এ কারণে প্রকল্প এলাকা থেকে মাটি কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও মাটি কেটে থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা জানান, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।