করোনার হটস্পট ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে শুক্রবার (২২ মে) সকালে থেকে ফের বাড়ি যাচ্ছে মানুষ। প্রাইভেটকার, সিএনজি, অটোরিকশা ও মটোরসাইকেলে করে অনেকে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। তবে মাহাসড়কে অন্যদিনের তুলনায় চেকপোস্টসহ বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে দায়িত্বপালনকারী পুলিশ সদস্যদের অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে কাজ করতে দেখা গেছে। এই সুযোগে সিএনজি, বেবিটেক্সি ও মোটরসাইকেল কয়েকগুণ বেশি ভাড়া নিচ্ছে ঘরমুখো মানুষের কাছ থেকে।
মহাসগড়কে গণপরিবহন না থাকলেও ঈদে ঘরমুখো মানুষ সিএনজি, অটোরিকশা, মটোরসাইকেলে চড়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন ঈদ করতে। তবে মহাসড়কে অন্যান দিনের তুলনায় যানবাহনের চাপ ছিল অনেক কম। যে কারণে যাত্রীদের বাসস্ট্যান্ডে দীর্ঘ সময় যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এদিকে হাইওয়ে সড়কে পুলিশের চেক পোস্টগুলোতে পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি।
যাত্রীদের অভিযোগ করেছেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তাদের দ্বিগুণ ভাড়ায় দুর্ভোগের মধ্যে একাধিক পরিবহনে করে গ্রামের বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। আর পুলিশের বিষয়ে যাত্রীরা বলছে, গ্রামে ফেরা মানুষদেও পুলিশ আটক করছে না। তাই তারা মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, পিকআপ ভ্যানে করে গ্রামে ফিরছেন।
তবে যাত্রীরা অভিযাগ করছেন, গণপরিবাহন বন্ধ থাকা ও পুলিশের হয়রানির অজুহাত দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছেন চালকরা।
এক্ষেত্রে চালকরা বলছেন, ঢাকা থেকে কুমিল্লা জেলায় যেতে একহাজার টাকা করে মোটরসাইকেল যাত্রীদের কাছ থেকে রাখা হচ্ছে। আসার সময় খালি আসতে হয় তাই বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই তিনদিনে রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে অধিকাংশ মানুষ রাতের আধারে বিভিন্ন কৌশলে ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে করে গ্রামের বাড়ি চলে গেছে। যে কারণে মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ অনেক কম।