বান্দরবানের একটি গার্মেন্টে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর কারখানাটি লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু মাত্র দুই দিন পরেই কারখানাটি পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয়েছে। কারখানাটি আবারও পুরোদমে চালু হওয়াতে জেলা শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বুধবার (২৭ মে) বান্দরবানের মেঘলায় অবস্থিত লুম্বিনী লিমিটেড নামে একটি সোয়েটার কারখানায় এই ঘটনা ঘটে। ওই কারখানার একজন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরপরই গত ২৫ মে রাতে তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। এরপরই কারখানাটি লকডাউন করে এবং কারখানার পাঁচশতাধিক শ্রমিককে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নিদের্শ দেয় প্রশাসন।
লুম্বিনী লিমিটেড এর ব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও জনসংযোগ) মো. মফিজুল ইসলাম মামুন বলেন, ‘বান্দরবান জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালু হয়েছে। লুম্বিনী লিমিটেড একটি শতভাগ রফতানিমুখী পোশাক কারখানা। চার থেকে পাঁচটি ধাপে এখানকার কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়া হয়। এতে আতঙ্কিত হবার কোনও কারণ নেই।’
লকডাউন ঘোষনার দুই দিনের মাথায় কারখানা আবার পুরোদমে কাজ চালুর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘সরকারি নিদের্শনা মেনে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা কর্মীদের আলাদা করে নমুনা পরীক্ষা করে কোয়ারেন্টিন করার নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে কারখানাটিকে। এছাড়াও সরকারি স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মানার শর্তেই কারখানাটি আবারও চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারখানার যে শ্রমিকটি আক্রান্ত হয়েছিল সেই সেকশনটি বন্ধ রাখা হয়েছে এবং তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ চলছে।’
তবে স্থানীয়দের দাবি, এতো সুরক্ষার মধ্যেও যেহেতু করোনা শনাক্ত হয়েছে, তবে আগামীতেও যে তাদের মধ্যে করোনা ছড়াবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। বান্দরবানে করোনা মহামারী আকার ধারণ করলে তার দায়ভার কে নিবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।