কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সিনহা হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৫) সদস্যরা। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুরে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয় গ্রেফতার তিন জন মেজর সিনহা নিহত হওয়ার পর পুলিশ যে মামলা করেছে সেই মামলার সাক্ষী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. আয়াছ, নুরুল আমিন ও নাজিম উদ্দিন। তাদের বিকাল ৪টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে র্যাব।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক তিন জনকে বিকালে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর ফলে মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলায় মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ জনে। এরমধ্যে দুজন এখনও পলাতক আছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ৫ আগস্ট ওসি প্রদীপ ও দায়িত্বরত পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ জনকে আসামি করে সিনহার বোন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৯ পুলিশ সদস্যকেই বরখাস্ত করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছে কক্সবাজার র্যাব-১৫। ওই মামলায় ওসি প্রদীপসহ ৩ জনকে ৭ দিনের রিমান্ড ও অন্য আসামিদের দুদিন করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত। ওসি প্রদীপসহ ৭ আসামি এখনও কারাগারে রয়েছে। একই ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় ৯ আগস্ট সিনহার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ ও ১০ আগস্ট সাহেদুল ইসলাম সিফাত জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান।