কুষ্টিয়ায় একটি তেলের মিলে কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন মো. রিপন আলী (৩৫) নামে এই যুবক। সেসময় ডান হাতের দুটি আঙ্গুল হারিয়েছেন তিনি। দুর্ঘটনার পর জীবন ফিরে পেলেও কর্মক্ষমতা হারান তিনি। রিপনের বাম পায়ের মধ্যে এখনও একটি রড ঢোকানো রয়েছে। অসহ্য যন্ত্রণায় এখনও ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না তিনি। তার চিকিৎসার জন্য যে অর্থ প্রয়োজন, তাও জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তার পক্ষে। তবে চিকিৎসা সম্পন্ন হলে যন্ত্রণা কমবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌর সভার ৩নং ওয়ার্ড বাজারপাড়া এলাকার মৃত রবজেল হোসেন মিস্ত্রীর ছেলে মো. রিপন আলী। বাবা-মা দুই জনকেই হারিয়েছেন। বর্তমানে থাকেন তার ছোট বোনের সংসারে। তবে দুর্ঘটনার পরে কোনও কাজ করতে পারেন না তিনি।
দুর্ঘটনার ব্যাপারে রিপন জানান, আড়াই বছর আগে কুষ্টিয়ায় একটি সরিষা তেলের মিলে কাজ করার সময় স্পিলারের বেল্টে ডান হাত জড়িয়ে যায়। সেসময় দুটি আঙ্গুল কেটে পড়ে যায়। এসময় বেল্ট ছিড়ে এসে বাম পায়ে আঘাত লাগে। বর্তমানে বাম পায়ের মধ্য একটি রড ঢোকানো রয়েছে।
রিপন বলেন, 'এখন কোনও কাজ করতে পারি না। অসহ্য যন্ত্রণায় রাতে ঘুমতেও পারি না। ঠিকমতো চলাফেরাও করতে পারি না। এক দুর্বিসহ জীবন যাপন করছি।'
চিকিৎসার ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, 'বর্তমানে রাজশাহীতে এক ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করাচ্ছি। এখন অপারেশনসহ অন্যান্য অনুসাঙ্গিক খরচ বাবদ প্রায় ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন। যা আমার সাধ্যের বাইরে। যদি বিত্তবানরা এগিয়ে আসেন তবে আমার অপারেশন সম্ভব।'