X
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

উখিয়া থানার ওসিসহ ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা

কক্সবাজার প্রতিনিধি
২৫ আগস্ট ২০২০, ১৮:৩৭আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২০, ২১:১৩

উখিয়া থানা (ছবি সংগৃহীত) কক্সবাজারের উখিয়া থানার ওসি মর্জিনা আকতার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল ইসলাম, এএসআই মো. শামীম ও কনস্টেবল মো. সুমনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছেন এক তরুণী (২২)। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

আদালত মামলা আমলে নিয়ে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) অ্যাডভোকেট একরামুল হুদা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলায় নারী নির্যাতন আইনের ৯ (১) তৎসহ দঃবিঃ আইনের ৩২৩/৩২৪/৩৪২/৩৭৯/৫০৬ ধারা মতে অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাদী মহেশখালী উপজেলার কালারমারছরার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়ার বাসিন্দা। তিনি কক্সবাজারের একটি বেসরকারি কলেজের ছাত্রী বলে জানা গেছে।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমদ মামলার আর্জিতে উল্লেখ করেন, উখিয়া থানার সাবেক কনস্টেবল মো. সুমনের (বর্তমানে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরত) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। প্রেমের সুবাদে তরুণীকে কাবিনের কথা বলে গত ৭ জুলাই বেলা ২ টার দিকে খুনিয়াপালং চেকপোস্ট সংলগ্ন একটি কক্ষে নিয়ে যায় সুমন। কাজি আসার অপেক্ষার অজুহাতে কক্ষে বসিয়ে রাখে ও পরে তরুণীকে ধর্ষণ করে। এরপর চেকপোস্টের পাশের একটি দোকানে বসিয়ে রেখে জরুরি কাজের বাহানায় পালিয়ে যায় সুমন। অবশেষে রাত ১১টার দিকে বিষয়টি কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ফোনে জানান ভিকটিম। তার কথামতো থানায় গেলে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মোবাইলফোন কেড়ে নেন ওসি মর্জিনা। এরপর অভিযুক্ত অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তাকে কক্ষে আটকে রেখে ব্যাপক মারধর ও নির্যাতন চালানো হয়। এমনকি পায়ে রশি ও পরনের হিজাব দিয়ে চোখ বেঁধে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে রাখারও অভিযোগ আনেন মামলার এজাহারে।

এ বিষয়ে জানতে উখিয়া থানার ওসি মর্জিনা আকতারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

তবে উখিয়ার সাবেক ওসি তদন্ত (বর্তমানে মহেশখালী থানায় কর্মরত) নুরুল ইসলাম বলেন, মেয়েটিকে নির্যাতনের বিষয়টি ঠিক নয়। মেয়েটি পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করলে তিনি আমাদের বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেন। আমরা গুরুত্ব সহকারে একটি প্রতিবেদন পুলিশ সুপার বরাবর পাঠিয়েছি। তবে মেয়েটি উখিয়া থানায় গিয়ে বার বার কনস্টেবল সুমনকে বিয়ের কথা জানাতো বলে জানান নুরুল ইসলাম।  

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হ্যান্ডগ্রেনেড ও অস্ত্রসহ ৪ আরসা সদস্য আটক
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হ্যান্ডগ্রেনেড ও অস্ত্রসহ ৪ আরসা সদস্য আটক
শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য কিরগিজে যাচ্ছেন বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত
শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য কিরগিজে যাচ্ছেন বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত
গোটা বাংলাদেশকেই কারাগারে পরিণত করা হয়েছে: ইশরাক
গোটা বাংলাদেশকেই কারাগারে পরিণত করা হয়েছে: ইশরাক
ভারত ও চীনকে যুক্ত করা গেলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান সম্ভব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত ও চীনকে যুক্ত করা গেলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান সম্ভব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
মামুনুল হক ডিবিতে
মামুনুল হক ডিবিতে
‘নীরব’ থাকবেন মামুনুল, শাপলা চত্বরের ঘটনা বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত
‘নীরব’ থাকবেন মামুনুল, শাপলা চত্বরের ঘটনা বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
হিমায়িত মাংস আমদানিতে নীতিমালা হচ্ছে
হিমায়িত মাংস আমদানিতে নীতিমালা হচ্ছে
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক