দিনাজপুরের হিলিতে মুহাড়াপড়া থেকে শুরু করে বৈগ্রাম পর্যন্ত চলমান সড়ক সংস্কারের কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। পিচ কম দেওয়া, সঠিকভাবে লেভেলিং না করা, ভাঙাস্থান মেরামত না করেই কাজ করার অভিযোগ তুলেছেন তারা। অনেকে সড়কের নিম্নমানের সংস্কার কাজের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তুলে ধরেছেন। স্থানীয়রা বলছেন, সংস্কার করার চেয়ে আগের সড়কই ভালো ছিল। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা প্রকৌশল দফতরের দাবি কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে।
হাকিমপুর উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হিলির চন্ডিপুর, মুহাড়াপড়া থেকে শুরু করে বৈগ্রাম পর্যন্ত ১৭৮০ মিটার সড়কের রিপিয়ারিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। যার ব্যায় ধরা হয়েছে ৩৬ লাখ টাকা, দিনাজপুরের মোজাফফর কনস্ট্রাকশন ফার্ম এ নির্মাণ কাজ করছে।
হিলির বৈগ্রাম এলাকার সাজ্জাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সড়কের নির্মাণকাজে যে পরিমাণ পিচ দেওয়ার কথা সে রকম দেওয়া হচ্ছে না। পিচ দিচ্ছে সামান্য, সবই নয়-ছয় অবস্থা। যেভাবে রাস্তার কাজ হচ্ছে তাতে করে এই রাস্তা বেশিদিন টিকবে না।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল বলেন, ব্যস্ত এই সড়ক দিয়ে যত গাড়ি আসা-যাওয়া করে তাতে সংস্কার কাজ ছয় মাসও যাবে কিনা সন্দেহ। আর সড়কের অনেক জায়গায় উঁচু-নিচু রয়েছে, যেগুলো ঠিক করা হয়নি। এত টাকা দিয়ে কাজ হচ্ছে, কিন্তু এসব জায়গায় সবসময় পানি জমে রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে।
সেলিম নামে স্থানীয় অপর এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, সড়কের অনেক স্থানে ভাঙাচোরা ছিল, বিশেষ করে একটি ব্রিজের পাশে ভেঙে গিয়েছিলো। আমরা গ্রামবাসী মাটি দিয়ে কোনোরকমে তা ঠিক করেছিলাম, তবে সংস্কারের সময় সেই জায়গা ঠিক না করেই ঢালাই দেওয়া হয়েছে। এমনকি রাস্তার পাশে যে ইট দেওয়ার কথা, সেটিও অনেক স্থানে নেই। আর বর্তমানে যে কাজ হচ্ছে তার চেয়ে আগের সড়কই ভালো ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মোজাফফর কনস্ট্রাকশন ফার্মের ম্যানেজার জনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আমাদের এস্টিমেট অনুযায়ী যেভাবে কাজ করা দরকার, আমরা ঠিক সেভাবেই কাজ করছি। এটি দেখার জন্য প্রতিনিয়ত ইঞ্জিনিয়ার অফিসের লোক রয়েছেন। তারা দেখাশোনা করছেন, তাদের উপস্থিতিতেই কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। সড়কে যে পরিমাণ পিচ দেওয়ার নিয়ম, সেই পরিমাণই দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
হাকিমপুর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল সাদীক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা নিজেরা উপস্থিত থেকে সড়কের কাজ শিডিউল মোতাবেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে আদায় করে নিচ্ছি। কোনও অনিয়ম হচ্ছে না বলে জানান তিনি।