X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভাগ্নে-ভাগ্নিকে হত্যার দায় স্বীকার করলো মামা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
২৯ আগস্ট ২০২০, ১১:৫০আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২০, ১১:৫৮

হত্যার শিকার শিফা আক্তার ও মেহেদী হাসান কামরুল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামে আপন ভাই-বোন শিফা আক্তার (১৪) ও মেহেদী হাসান কামরুল (১০) হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। আপন মামা বাদল মিয়া (৩০) গলাকেটে তাদের হত্যা করে বলে আদালতে স্বীকার করেছে। ভগ্নিপতি ও নিহতদের বাবা মো. কামাল হোসেনের (৪৬) থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন।

ঘাতক বাদল মিয়া কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার খোদে দাউদপুর গ্রামের মরহুম আবদুর রবের ছেলে।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ ঘাতক বাদল মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদ হোসাইনের আদালতে হাজির করলে সে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে পুলিশ গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকার সবুজবাগ থানা এলাকা থেকে বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করে। সে পুলিশের কাছেও ভাগ্নে-ভাগ্নিকে গলাকেটে খুন করার কথা স্বীকার করে।

বৃহস্পতিবার আদালত সূত্রে এবং গত বুধবার রাতে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঘাতক বাদল মিয়া (মাঝে) জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা (ডিএসবি) থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিহতদের বাবা কামাল হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ১৩ লাখ টাকা ধার নেয় বাদল মিয়া। ইতোমধ্যেই বাদল মিয়া তিন লাখ টাকা পরিশোধও করে। বাদল মিয়ার কাছে পাওনা বাকি ১০ লাখ টাকার জন্য ভগ্নিপতি কামাল হোসেনের মনোমালিন্য চলছিল। এর জেরে সপ্তাহখানেক আগে বাদলকে থাপ্পড় মারেন কামাল হোসেন। এ ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে বাদল মিয়া। গত ২৪ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে কামাল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান কামরুল তার মামা বাদল মিয়ার রুমে যায়। বাদল তখন রুমে উচ্চস্বরে গান বাজাচ্ছিল। একপর্যায়ে ভাগ্নে কামরুলের দুই হাত বেঁধে ফেলে এবং পরে ছুরি দিয়ে কামরুলকে গলাকেটে হত্যা করে লাশ চাদর দিয়ে পেঁচিয়ে ঘরে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে।

এদিকে, মাগরিবের আজানের পরও ছেলে কামরুল ঘরে না ফেরায় কন্যা শিফা আক্তারকে ঘরে রেখে কামাল হোসেন তার স্ত্রী হাসিনা বেগমকে নিয়ে কামরুলকে খুঁজতে বাড়ি থেকে বের হন। পরে শিফা আক্তার ঘর ঝাড়ু দেওয়ার জন্য মামা বাদল মিয়ার রুমে ঢুকে খাটের নিচে কামরুলের লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। পরে বাদল মিয়া শিফা আক্তারকে জোরপূর্বক গোসল খানায় নিয়ে ছুরি দিয়ে জবাই করে একই কায়দায় লাশ চাদর দিয়ে ঢেকে পাশের রুমের খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। এদিকে কামরুলকে না পেয়ে তার বাবা ও মা এলাকায় মাইকিং করিয়ে বাড়িতে এসে দেখেন শিফাও নেই। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে খাটের নিচে তাদের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতদের পিতা কামাল হোসেন বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান, গ্রেফতারকৃত বাদল মিয়া আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তাকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।

 

/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
খুলনায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা
খুলনায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস