দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার মামলায় আরও ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘোড়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন স্থানে থানা পুলিশের অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন ইউএনওর ওপর হামলার মামলার প্রধান আসামি আসাদুল ইসলামের ভাই আশরাফুল ইসলাম শাওন (৪০), ইউএনওর বাসভবনের মালি সুলতান কবির (৩৭) ও মামলার অন্যতম আসামি সান্টু কুমারের আত্মীয় শ্যামল কুমার (৩৩)।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম জানান, বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের সঙ্গে মামলার প্রধান আসামিদের সম্পর্ক রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
গত বুধবার রাতে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসার ভেতরে ঢুকে তাকেসহ তার বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করে র্যাব। বুধবার রাতেই এ ঘটনায় ওয়াহিদা খানমের ভাই বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন। বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনায় প্রথমের আসাদুল ও পরে নবিরুল ও সান্টু নামে মোট তিন জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদে আসাদুল অসুস্থবোধ করলে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকেই আজ তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলো র্যাব। অপর দুই আসামি নাবিরুল ও সান্টুকে শনিবার ভোররাতেই ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সফল অস্ত্রোপচার হলেও তিনি এখনও ঝুঁকিমুক্ত নন। তার বাবারও শরীরের নিচের অংশ এখন অসাড় হয়ে আছে।