হাওরের অলওয়েদার সড়কের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি হাওর উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামের সঙ্গে যুক্ত সড়কটির উদ্বোধন করেন।
মিঠামইনের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মিঠামইন প্রান্ত থেকে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল হক, অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক হায়দারী বাচ্চু, ইটনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন।
এছাড়া উপকারভোগী আবদুর রহমান, প্রতিবন্ধী আফজাল হোসেন, কৃষক আ. মজিদ ও সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ভিক্ষাবৃত্তি থেকে ফিরে এসে স্বাবলম্বী হওয়া নারী আকলিমা আক্তার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। এসময় তারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
মিঠামইন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী। পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল হাসান সাজাহান ও সাধারণ সম্পাদক এমএ আফজল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, মিঠামইনের উপজেলা চেয়ারম্যান আছিয়া আলম, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুর হকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন অলওয়েদার সড়ক। গত অর্থবছরে ৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটারের অলওয়েদার সড়কটি নির্মাণ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
এ প্রসঙ্গে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, সারা বছর চলাচল উপযোগী ‘আবুরা’ সড়কটি নির্মিত হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি উন্মুক্ত হয়েছে পর্যটন খাতের বিপুল সম্ভাবনার দুয়ার। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো গেলে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে এই হাওর।
পর্যটন খাতের পাশাপাশি এ সড়ক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে সড়কটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল আলম জানান, সড়কটি আরও দৃষ্টিনন্দন করতে দু’পাশে গাছপালা লাগানোর পৃথক আরেকটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।
জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বললেন, ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কটি এরই মধ্যে পরিচিতি পেয়েছে হাওরের বিস্ময় হিসেবে। সড়কটি নির্মিত হওয়ায় অনুন্নত হাওর এলাকায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে।