পটুয়াখালীর বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ও এসআই শেখ জাহিদ আলমের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাহাবুব আলম মোল্লা নামে এক যুবলীগ নেতা। বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় একটি হোটেলে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়ির সহ সভাপতি মাহাবুব আলম মোল্লা জানান, একই এলাকার সাবেক ছাত্রদল নেতা বর্তমানে নাজিরপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন আকনের কাছে ব্যবসায়িক সূত্র ধরে ৫১ লাখ টাকা পাওয়া নিয়ে তার বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জের ধরে গত ২৫ জানুয়ারি রাতে জসিম আকনের নির্দেশে তার পালিত কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়। এরপর তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে গিয়ে ভর্তি হন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
এ ঘটনায় তার স্ত্রী শিলা বেগম গত ২৭ জানুয়ারি জসিম উদ্দিন আকনকে হুকুমের আসামি করে ৩ জনের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৫। বিভিন্ন সময় ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। সর্বশেষ এসআই শেখ জাহিদ আলমকে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) দেওয়ার নামে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ও এসআই শেখ জাহিদ আলম তার কাছে ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। তিনি ঘুষ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নেন এবং সাক্ষীদের কোনও বক্তব্য নিয়ে মামলার প্রধান আসামি জসিম উদ্দিন আকনকে বাদ দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেওয়া মেডিক্যাল রিপোর্ট (এমসি) আমলে না নিয়ে বাউফল হাসপাতালের প্রাথমিক চিকিৎসার রিপোর্ট দিয়ে সাধারণ ধারায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) দাখিল করে তাকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি পুনরায় মামলটি সিআইডির তদন্ত চেয়ে পুলিশের আইজিপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা মাহাবুব আলম মোল্লার বড় ভাই আবদুল বারেক মোল্লা, ইউসুফ মোল্লা প্রমুখ।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যে আসামির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে ঘটনার সময় সে ঢাকায় ছিল। এর প্রমাণও আমাদের কাছে আছে। মামলার বাদীপক্ষ আমাকে বাদ দিতে নিষেধ করছিল। তাকে বুঝিয়ে বলেছি, ঘটনার সময় সে বাউফলে ছিল না, তার নাম আমি কিভাবে রাখি।