নীলফামারীর ছয় উপজেলায় পূজা মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে রঙ-তুলির আঁচড়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা। করোনা মহামারিতে পূজা মণ্ডপকে আর্কষণীয় করতে আলোকসজ্জা ও গেট নির্মাণের প্রতিযোগিতা নেই এবার।
সরেজমিনে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালী পাড়া কাছারী বাজার পূজা মণ্ডপে সব কিছুই ভিন্ন। ওই মণ্ডপের সভাপতি ধীরেশ চন্দ্র রায় জানান, এবার কারিগর (মালি) বাবদ খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার ও ডেকোরেশন বাবদ ৩০ হাজার টাকা। প্রতিমার উপকরণের দামও বেড়েছে। এর মধ্যে রঙ, কেশ, সুতা, শাড়ি, ধুতি, আতপ চাল, নারিকেল, ধুপ ও ধুনা ক্রয় ক্ষমতা বাইরে।
একই উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের সন্ন্যাসী তলা গ্রামের মৃৎ শিল্পী রমানাথ চন্দ্র রায়ের হাতের ছোঁয়ায় ৩ জন সহকারী দিয়ে তৈরি করছেন প্রতিমা। কাঁদা লাগানোর কাজ শেষ, এখন রঙ তুলির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জেলা প্রশাসন সূ্ত্রে জানা গেছে, এবার নীলফামারীতে ৮৪৭টি পূজা মণ্ডপ তৈরি হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এসএ হায়াত বলেন, এবার ৮৪৭ টি মণ্ডপে বিপরীতে ৪২২.৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়েছে। তুলনামূলকভাবে কারোনার পরিস্থিতির মধ্যে ১০ মণ্ডপ কমিয়েছে। তবে বাড়ানো হয়েছে বরাদ্দের পরিমাণ।
জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি অক্ষয় কুমার রায় বলেন, জেলায় ৬১টি ইউনিয়নের মধ্যে সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালী পাড়া কাছাড়ী বাজারে পূজা কমিটি ব্যাপক আয়োজনে শারদীয় দুর্গাৎসব অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থবিধি মেনে রাত ৯টার মধ্যে সব কর্মকাণ্ড শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে।
সদর থানার ওসি (তদন্ত) মামুদ উন নবী বলেন, করোনা পরিস্থিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আগামী ২২ অক্টোবর থেকে প্রতিটি মণ্ডপে একজন করে পোশাকধারী পুলিশ ও পাঁচজন করে আনসার নিয়োগ করা হবে। এছাড়াও গ্রাম পুলিশও সহযোগিতা করবে। যাতে কোনও প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে কঠোর নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান বলেন, এবারে জেলায় ৮৪৭টি পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। একজন পোশাক ধারী পুলিশের সঙ্গে পাঁচজন আনসার ও গ্রাম পুলিশ সহযোগিতা করবে। এছাড়াও বিজিবি ও র্যাব ২৪ ঘণ্টা টহলে থাকবে। এদিকে জেলার ছয় উপজেলায় পূজা মণ্ডপগুলো গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।