বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে নদ- নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার ও দুই দিনের প্রবল বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে উপকূলের জেলা পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকার ঘের ও পুকুরের মাছ। অনেক জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। জানা যায়- পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ, দশমিনা, গলাচিপা, রাঙ্গাবালী ও কলাপড়া উপজেলায় দেড় হাজারের অধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান চাষিরা।
তারা আরও জানান, মৎস্যখাতে এবারের বৃষ্টিতে ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বুলবুলের চেয়েও অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে।
ভুক্তভোগী বিপুল চন্দ্র হাং বলেন, 'এলাকার বেকার ছেলেরা মিলে সমিতি করে মাছ চাষ করেছে। আমরা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে টাকা দিয়েছি। মাছ ভালোই হয়েছে। ভাবছিলাম লাভবান হবে। এখন তো সবই ভেসে গেলো।'
গলাচিপার আমখোলা ইউনিয়ানের মৎস্য চাষি আবু তালেব বলেন, 'এনজিও অইতে টাহা লোন নিয়া সরকার অইতে খাল ইজরা লইয়া মাছ চাষ করছি। মাছ এহন বড়ো হইছে। কয় দিনের মধ্যে মাছ ধরার কথা ছিল এহন বৃষ্টির পানিতে ঘেরের থেকে মাছ পানিতে ভাইসা গ্যাছে। প্রায় ১৬ লাখ টাহার মাছ নাই হইয়া গ্যাছে। এহন আমার মাথা নষ্ট হইয়া গ্যাছে, ক্যামনে লোনের টাহা শোধ করমু।'
শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে রাঙ্গাবালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক বাবুল বলেন, 'রাঙ্গাবালীতে ৩১০টি পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। এতে ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অনান্য উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তারাও প্রায় একই তথ্য দিয়েছেন।'
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, 'অনেক জায়গায় পুকুর ও ঘের ভেসে গেছে। প্রাথমিক ভাবে যে তথ্য আমার কাছে এসেছে এতে ১ কোটি ৪৯ টাকার ক্ষতি হয়েছে।'