নীলফামারীতে চলন্ত অটোরিকশায় গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে চালকসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডোমার থানার ওসি মো. মোস্তাফিজার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডোমার-আমবাড়ি সড়কের ভেলেঙ্গারডারা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। রাতেই ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেন। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরের দিকে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মফিজপাড়া এলাকার অটোরিকশাচালক কামাল ইসলাম (২০) ও একই এলাকার তার সহযোগী ইউনুস আলী (৪৮)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সোমবার বিকাল ৪টার দিকে ওই গৃহবধূ চিলাহাটি মুন্সিপাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি নওগাঁ যাওয়ার জন্য একটি অটোরিকশায় ডোমার রেলস্টেশনে আসে। শান্তাহার যাওয়ার ট্রেনের খোঁজ নেওয়ার জন্য গৃহবধূ অটোচালক কালামকে স্টেশনে খোঁজ নিতে বলে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই গৃহবধূ টিকিট কাউন্টারে শান্তাহারের একটি টিকিট চাইলে শান্তাহারের কোনও ট্রেন নেই বলে স্টেশন কর্তৃপক্ষ তাকে জানায়। পরে ওই গৃহবধূ সরল মনে ওই অটোরিকশাতেই বাড়ি ফিরছিল। অটোচালক ইতোমধ্যে তার সহযোগী ইউনুসকে নিয়ে ডোমার-আমবাড়ির অন্ধকার নির্জন রাস্তা দিয়ে চিলাহাটি রওনা হয়। কিছু দূর যাওয়ার পর অন্ধকার একটি স্থানে প্রথমে অটোর ভিতরে, পরে অটো থেকে টেনে নামিয়ে একটি ধানক্ষেতে নিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। গৃহবধূ তখন তাদের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি হয়ে কৌশলে তাদের আবার অটোতে নিয়ে আসে। কিছু দূর যাওয়ার পর ভেলেঙ্গারডারা এলাকার রাস্তার পাশের একটি দোকানে কিছু মানুষ দেখতে পেয়ে গৃহবধূ অটো থেকে ঝাঁপ দিয়ে পরে চিৎকার শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা অটোচালক ও তাদের সহযোগীকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। রাতেই ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে তাদের নামে ডোমার থানায় ধর্ষণচেষ্টার একটি মামলা করেন।
ডোমার থানার ওসি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের ধরে নিয়ে আসি। দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
