গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারের খুন হওয়া সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর মো. রুস্তম আলী হাওলাদারের স্ত্রী নাসরিন আক্তার বাদি হয়ে জয়দেবপুর থানায় সোমবার রাতে মামলা করেছেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে স্থানীয় দেওলিয়াবাড়ি এলাকার হিমেল (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাদি নাসরিন আক্তার জানান, আসামি হিমেল তার দেবর শাহ আলমের মেয়ে স্থানীয় আইডিয়াল স্কুলের ছাত্রী শাহলিয়া আক্তার হাসিকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করতো। এক সময় হিমেল হাসিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু রুস্তম ও তার পরিবারেরর লোকজন তাতে রাজি হয়নি। এনিয়ে হিমেলকে শাসিয়ে ছিলেন রুস্তম আলী। পরবর্তীতে আবারও হাসিকে উত্ত্যক্ত করলে হিমেলকে পুলিশে দেওয়ারও ভয় দেখান রুস্তম। কয়েক মাস আগে অন্য ছেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে হাসির বিয়ে ঠিক হয়ে। হাসিকে আংটি পড়ানো হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হিমেলই রুস্তমকে খুন করেছে বলে ধারণা করছেন তারা ।
আরও পড়তে পারেন : পরিকল্পিতভাবে জামায়াত-বিএনপি হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
কোনাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন জানান, মামলার এজহারভুক্ত আসামি হিমেলকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে অন্যদের নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান। হাসিরা আগে চাচা রুস্তমের বাসায় স্বপরিবারে বসবাস করতো। ১০ বছর আগে হাসির বাবা শাহ আলম দেওলিয়া বাড়ি এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করেন। এরপর থেকে তারা সেখানেই বসবাস শুরু করে। বর্তমানে হাসি কোনাবাড়ি এমএইচ আরিফ কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
/জেবি/