X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ত্র নিয়ে মহড়া, লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ

পাবনা প্রতিনিধি
১৫ জুন ২০২১, ২১:১৯আপডেট : ১৫ জুন ২০২১, ২১:১৯

পাবনায় গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র নিয়ে ঠিকাদারদের মহড়ার ঘটনা তদন্তে অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে অস্ত্র ও গুলির লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়নি গণপূর্ত বিভাগ। সিসিটিভি ফুটেজ গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় গণপূর্ত বিভাগে খোঁজখবর নিয়েছেন অভিযুক্ত ঠিকাদারদের অনুসারীরা। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিবুল ইসলাম খান বলেন, পাবনা গণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অস্ত্র নিয়ে মহড়ার পরই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা লিখিত অভিযোগ না দিলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিষয়টির তদন্ত শুরু করে। সেই সঙ্গে ঠিকাদারদের প্রদর্শিত অস্ত্রগুলো জব্দ করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়ায় লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়; কেবল জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে। সরকারি দফতরে জানমালের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল না। তাদের সঙ্গে ২৫-৩০ জন লোকও ছিলেন। অস্ত্রের মালিকরা সেখানে অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেননি।

পাবনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) কবীর মাহমুদ বলেন, পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন দুপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন এবং জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে গণপূর্ত ভবনে আসেন। তারা বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে খুঁজতে থাকেন। পরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কক্ষে যান এবং কিছুক্ষণ পর বের হয়ে যান।

লিখিত অভিযোগ না পেলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ঘটনার তদন্তে নামে। পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন এসে গণপূর্ত বিভাগের কার্যালয় থেকে ওই দিনের সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে যান। এরই মধ্যে ঠিকাদার ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের চাপে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। গত সপ্তাহে জেলা আইন কমিটির সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হলে জানাজানি হয়ে যায়।

/এএম/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পুতিনের পঞ্চম মেয়াদের শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করলেন পশ্চিমা নেতারা
পুতিনের পঞ্চম মেয়াদের শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করলেন পশ্চিমা নেতারা
বিচারকের স্বাক্ষর জাল: ২ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল হয়নি 
বিচারকের স্বাক্ষর জাল: ২ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল হয়নি 
ছুঁড়ে দেয়া সকল তীর সাদরে গ্রহন করলাম: ভাবনা
ছুঁড়ে দেয়া সকল তীর সাদরে গ্রহন করলাম: ভাবনা
উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে: সিইসি
উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে: সিইসি
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?