X
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ছুড়ে দেওয়া সব তির সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা

বিনোদন রিপোর্ট
০৭ মে ২০২৪, ১২:৪১আপডেট : ০৮ মে ২০২৪, ১১:১৬

দিন কয়েক আগে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। যেখানে দেখা যায়, একটি পিকআপ ভ্যানে কয়েকটি গরু। ছবিটির ক্যাপশনে ভাবনা লেখেন, ‘আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে!’

এই ফাঁকে মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, ভাবনা একজন প্রাণীপ্রেমী হিসেবে পরিচিত। নিজে যেমন বাসায় পোষ্য লালন-পালন করেন, আবার পথেঘাটে পড়ে থাকা প্রাণীর প্রতিও তার মায়া-মমতার ছাপ পাওয়া যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ফেরা যাক সেই গরুর ছবিতে। এটি পোস্ট দেওয়ার পর রীতিমতো তোপের মুখে পড়েছেন ভাবনা। যদিও তিনি পোস্টের কমেন্ট বক্স বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু নিস্তার মেলেনি। হাজারো নেটিজেন শেয়ার করে তাকে নানা মন্তব্যে তুলোধুনা করছেন। বিষয়টি নিয়ে ক’দিন চুপ থাকার পর অবশেষে মঙ্গলবার (৭ মে) প্রথম প্রহরে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভাবনা।

আশনা হাবিব ভাবনা তিনি বলেন, “আমি মাঝে মাঝেই ছবি তুলতে পছন্দ করি। যখন কোনও দৃশ্য আমাকে ভাবতে বাধ্য করে, সেটা মাঝে মাঝে ফেসবুকেও শেয়ার করি। আমার একটি ছবি, যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি পিকআপ ভ্যানে রোদে দাঁড়িয়ে একটি গরু, তার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি। সেদিন ছিল তীব্র দাবদাহ, গরমে দীর্ঘ সময় থাকার ফলে অবলা প্রাণীটি ভীষণভাবে কাঁদছিল। বোবা প্রাণের কান্না আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল। ছবি তুলে আমার অনুভূতি প্রকাশ করি আমি। ছবিটির ক্যাপশন দিয়েছি ‘আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে!’ ব্যাস এতটুকুই! তারপর কিছু মানুষ শুরু করলেন আমাকে হেয় করা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখতে শুরু করলেন—আমি চামড়ার ব্যবসায়ী! আমি নিজে একটা গাভী! আমাকে লাথি মারতে মারতে ইন্ডিয়া পাঠানো উচিত! আরও কত নোংরা নোংরা কথা!”

ভাবনার মতে, তিনি কেবল অবলা প্রাণীর প্রতি মায়া থেকে কথাটি বলেছেন। এখানে কোনও বিদ্বেষ কিংবা গরুর মাংস খাওয়ার বিরোধিতা করেননি। তার ভাষ্য, ‘আমি কোথাও লিখিনি গরুর মাংস খাই না, বা বলিনি আপনারা গরুর মাংস খাবেন না। একটা প্রাণীর কান্না দেখে যে কেউ কেঁদে উঠতে পারেন এটাই স্বাভাবিক। আর আমি প্রকৃতিপ্রেমী বা প্রাণীপ্রেমী কিনা সেটার প্রমাণ আমি কোথাও দেবো না। আমার ফেসবুকের একটি পোস্টেই তো আর প্রমাণ হবে না আমি কে?’

আশনা হাবিব ভাবনা সবশেষে শিল্পীসুলভ অভিমান প্রকাশ করলেন ভাবনা। বললেন, ‘অবশ্যই এই ছবিটি নিয়ে আমি আরও লিখবো, হয়তো কোন কবিতায় বা গল্পে বা অন্য কোথাও অথবা আমার পরবর্তী ক্যানভাসে। শিল্পীর বেদনা গুরুত্বপূর্ণ, ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমার দিকে ছুড়ে দেওয়া সব তির আমি সাদরে গ্রহণ করলাম।’

ভাবনার এই ব্যাখ্যায় কারও কারও বোধোদয় হয়েছে বটে। কিন্তু অনেকেই এখনও তার সমালোচনায় মেতে আছে। তবে তারাও বিষয়টিকে উপলব্ধি করে সহজভাবে নেবেন বলে প্রত্যাশা এই অভিনেত্রীর।

/কেআই/এমওএফ/
সম্পর্কিত
কানে ঝুলছে বাংলাদেশের দুল!
কান উৎসব ২০২৪কানে ঝুলছে বাংলাদেশের দুল!
কান থেকে ভাবনা: নিজেকে ছোট অনুভব করাটাও দরকার
কান থেকে ভাবনা: নিজেকে ছোট অনুভব করাটাও দরকার
চাঁদরাতে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে নাটক
চাঁদরাতে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে নাটক
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
জুনে ‘সংবাদ’ তৈরিতে নামছেন তারা
জুনে ‘সংবাদ’ তৈরিতে নামছেন তারা
সন্ধ্যায় করতালি পেয়ে সেলেনার কান্না, রাতে কেট ব্ল্যানচেটের আলো
কান উৎসব ২০২৪সন্ধ্যায় করতালি পেয়ে সেলেনার কান্না, রাতে কেট ব্ল্যানচেটের আলো
বাবার জন্মশতবর্ষে কন্যার বর্ণিল আয়োজন
স্মরণে কলিম শরাফীবাবার জন্মশতবর্ষে কন্যার বর্ণিল আয়োজন
ঢাকায় প্রথমবার ‘পপাই’র একক কনসার্ট
ঢাকায় প্রথমবার ‘পপাই’র একক কনসার্ট
কানে ঝুলছে বাংলাদেশের দুল!
কান উৎসব ২০২৪কানে ঝুলছে বাংলাদেশের দুল!