রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২১ মার্চ) বেলা ১২ টার দিকে বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের পর এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে মঞ্চে আমন্ত্রিত অতিথিরা আসন গ্রহণ করেন। এরপর কোরআন তেলাওয়াত, গীতাপাঠ ও নেতাদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। এর পরপরই স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ঘটে।
তারা আরও জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীর সমর্থকরা মঞ্চের সামনে ‘আক্কাছ ভাই, আক্কাছ ভাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের থামাতে চেষ্টা করছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সমর্থকরা। এতে উভয়েই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় মঞ্চের ওপরে চেয়ার ছুঁড়ে মারা, চেয়ার ভাঙচুর, দেশীয় অস্ত্র ও বাঁশের লাঠির মহড়াও দেখা যায়। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা থেকে আগত এক নেতার প্রেস সহকারী এমএসএ রেজা, বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার, শাহরিয়ার হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মুরাদ হোসেন, লিটন ভুঁইয়া, আলম হোসেন ও সুজন আলীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত হলে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিএমডিএ চেয়ারম্যান আখতার জাহান। সঞ্চালনা করেন বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।