রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চিহ্নিত মাদক সম্রাটের বিশ্বস্ত সহযোগী হয়ে কাজ করা এক পুলিশ কনস্টেবলকে কোটি টাকার মাদকসহ গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে নুর মোহাম্মদ নুর নবী ইসলাম (২৮) নামের ওই কনস্টেবলকে বিপুল পরিমাণ হোরোইনসহ আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তার দেওয়া তথ্যে অভিযান চালিয়ে কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করা হয়।
নুর নবী রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত। তিনি গোদাগাড়ী পৌর এলাকার সারাংপুর পুলিশ পাড়া মহল্লার আবুল কাশেমের ছেলে।
জানা যায়, ওই পুলিশ সদস্য মাদক সম্রাট মিঠুন আলী (৩২) ও রবিউল ইসলামের (৩৩) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত। সীমান্ত পার হয়ে এসব মাদক নিরাপদে নগরীতে মাদকসেবীদের পৌঁছে দিতে কাজ করতেন পুলিশ সদস্য।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর এলাকার রেলগেট মোড় থেকে কনস্টেবল নূর মোহাম্মদকে ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের ৫০০ গ্রাম হেরোইনসহ আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার সারাংপুর পুলিশ পাড়া থেকে আরও ৫০০ গ্রাম হেরোইনসহ মাদক সম্রাট মিঠুন আলী (৩২) ও রবিউল ইসলামকে (৩৩) আটক করা হয়।
মিঠুন আলী সারাংপুর জোতগোসাই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন ও রবিউল ইসলাম সারাংপুর পুলিশ পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
রাজশাহী জেলা ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে কনস্টেবল নুর নবী মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এরপরই তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডিবির ওসি আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে জেলা ডিবির একটি দল গোদাগাড়ী পৌর এলাকার রেলগেটের আলামিন মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারের সামনে দেহ তল্লাশি করে ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে। পরে কনস্টেবল নবীউলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি পুলিশ জানতে পারে, পাচারের জন্য তার পার্টনার গোদাগাড়ীর শীর্ষ মাদক সম্রাট মিঠুন আলীর পুলিশ পাড়ার বাসায় আরও হেরোইন মজুত আছে। পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে মিঠুন আলীর বাড়ি তল্লাশি করে তার শয়নকক্ষ থেকে আরও ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।