বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের বানদিঘী মন্ডলপাড়ায় ব্যবসায়ী আশিক সরকারকে (৩০) কুপিয়ে হাতের কবজি ও পা বিচ্ছিন্নের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সদর থানায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন আশিকের বড় ভাই লালন সরকার। এ ঘটনায় রাতেই হামলার পরিকল্পনাকারী মামলার ৩ নম্বর আসামি এরুলিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) আলম শেখকে (৪৮) বানদিঘী চাতালের মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আলম শেখকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনুজ্জামান শাহীন। আলম শেখ বগুড়া সদরের বানদিঘী ফকিরপাড়ার মৃত লজি শেখের ছেলে।
হামলার শিকার আশিক সরকার এরুলিয়া ইউনিয়নের বানদিঘী গ্রামের তোজাম্মেল হক তোতার ছেলে। তিনি স্থানীয় বাজারে চাল ও অন্যান্য মালামালের ব্যবসা করেন।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বানদিঘী বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন আশিক। পথিমধ্যে মুখোশ পরে তার পথরোধ করা হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে দুর্বৃত্তরা। ঠেকানোর চেষ্টা করলে ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া তার দুই পায়ের গোড়ালিতে আঘাত করলে এক পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার চিৎকারে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় পুলিশের কাছে হামলাকারী কয়েকজনের নাম-পরিচয় বলেন আশিক। অবস্থার অবনতি হলে রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় আশিকের ভাই লালন সরকার মঙ্গলবার রাতে সদর থানায় আলম শেখ, ফিজু, শরিফ ও অনিকসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি ইউপি সদস্য আলম শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আশিক সরকারের ফুফাতো ভাই সাব্বির হুসেইন বাবলু বলেন, ‘হামলার পর হাসপাতালে পুলিশ ও উপস্থিত সবার কাছে হামলাকারীদের নাম বলেন আশিক। হামলার সময় আশিকের বাঁ হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। দুই পায়ের গোড়ালি কেটে ফেলা হয়েছে।’
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘পূর্ব বিরোধের জের ধরে ব্যবসায়ী আশিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গ্রেফতার ইউপি সদস্য আলম শেখকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’