সিরাজগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিলে রাবার বুলেট ও টিয়ালশেল ছুড়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্য রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকালে শহরের রেলগেট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর আট জনকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিয়ামকে (১৯) ও জিসান (২০) নামে দুই শিক্ষার্থীকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের মধ্যে নাবিল, সৈকত নয়ন ও ইমনের নাম জানা গেছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন সিরাজগঞ্জ ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক এসএম কামাল, গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক সৌমিক হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ানুল ইসলাম ও ডিএসবির উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলামসহ পাঁচ জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের ইসলামিয়া কলেজ রোড, স্টেডিয়াম রোড ও সদর হাসপাতাল রোড পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সদস্য নাবিল আহমেদ বলেন, ‘আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রেলগেট এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ ছাত্রদের ওপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অন্তত ১০ জন ছাত্র আহত হন।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে আট জনকে আটক করা হয়েছে।’
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা রেলগেট এলাকায় মিছিল নিয়ে পৌঁছালে তাদের ভেতরে থাকা বহিরাগতরা পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’