নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বগুড়া জেলা কমিটির নেতা মেরাজ হোসেনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক পদে থাকার পরও তিনি ভোল পাল্টিয়ে ওই সংগঠনে অনুপ্রবেশ করে যুগ্ম সদস্য সচিবের পদ বাগিয়ে নেন। সংগঠনের মুখ্য সংগঠক আজিম উদ্দিন মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তার ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য দেন।
অফিসিয়াল ফেসবুকে পেজে আজিম উদ্দিন উল্লেখ করেন, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব পদে থাকা মেরাজ হোসেনকে নিয়ে পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বগুড়া জেলা কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হলো। এ নিয়ে তদন্ত চলছে; পূর্ণাঙ্গ সত্যতা পেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ৩০ জানুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বগুড়া জেলা শাখার ৩৩৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পরপরই এতে অছাত্র, চাঁদাবাজসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের রাখায় ত্যাগীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র থেকে সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
এ কমিটিতে যুগ্ম সদস্য সচিবের দায়িত্ব পান বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারের সাঁতাহার আদর্শপাড়ার মিঠুর ছেলে ও সান্তাহার সরকারি কলেজের ছাত্র মেরাজ হোসেন। তিনি ২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক। বিষয়টি জানাজানি হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়।
সংগঠনের জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাকিব খান মঙ্গলবার বিকালে জানান, কিছু বিতর্কের কারণে তাদের সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছেন। কমিটিতে বঞ্চিতরা সুযোগ পাবেন আর অনুপ্রবেশকারী ছাত্রলীগ নেতাদের বহিষ্কার ও তাদের আইনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।