করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো। করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য রামেক হাসপাতালটিতে পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। এ ছাড়া করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, গত ২৭ মে থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। ওই দিনের পাঁচটি নমুনার একটি করোনা পজিটিভ আসে। এরপর থেকে প্রতিদিনই ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ১৫ দিনে সর্বনিম্ন চারটি ও সর্বোচ্চ ২৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৯৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৩০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গত ২ জুন একদিনেই ১৫টি নমুনা পরীক্ষায় চিকিৎসক ও মেডিক্যাল স্টাফসহ ৯ জন শনাক্ত হন। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও আক্রান্তের হার স্থিতিশীল। হাসপাতালের ২৫ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড। গঠন করা হয়েছে চিকিৎসক-নার্সদের টিম। তবে এ বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনও রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কে বিশ্বাস জানান, সবার উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ঠান্ডা-সর্দিজনিত উপসর্গ দেখা দিলেই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। বর্তমানে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত কোনও রোগী ভর্তি নেই। তারপরও প্রস্তুতি হিসেবে চিকিৎসক-নার্সদের টিম গঠন করা আছে। ২৫ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডও আছে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খন্দকার মো. ফয়সল আলম বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। যে দুটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, তাতে বড় ধরনের ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে না।’
তবে তিনি জানান, ভারতের কিছু সাব-ভেরিয়েন্ট নিয়ে সতর্কতা জরুরি। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সরকার বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন। সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হলে সংক্রমণ আবার মহামারি আকার ধারণ করবে না। কিট স্বল্পতায় ভুগবে না, যদি না আবার বড় ধরনের মহামারি দেখা দেয়।
রাজশাহী জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবা খাতুন জানান, রাজশাহীর নয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন ও আইসোলেশনের কোনও ঘাটতি নেই। করোনা পরীক্ষা করার জন্য কিট নেই বললে চলে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে চলে আসবে এই কিট। এ ছাড়াও মাস্ক, স্যানিটাইজারের চাহিদাও পাঠানো হয়েছে।