বগুড়ায় গ্রেফতারের সময় দুই পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়া সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মুরাদুন্নবী নিশানকে (২৭) গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার চার দিন পর বুধবার গভীর রাতে সোনাতলা উপজেলার নওদাবগা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার রহমান।
পুলিশ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বগুড়া সদর উপজেলার শিকারপুর পূর্বপাড়া গ্রামের দুলাল প্রামাণিকের ছেলে মুরাদুন্নবী নিশান একটি মাদক মামলায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত। ওয়ারেন্টে ঠিকানা ঝোপগাড়ি লেখা থাকলেও তিনি পরিবার নিয়ে সদর উপজেলার শিকারপুর পূর্বপাড়া গ্রামে বসবাস করেন। তার বিরুদ্ধে মাদক, অপহরণ, চুরি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ অন্তত পাঁচটি মামলা রয়েছে।
উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী টাউন উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম (৪২) ও কনস্টেবল মানিকুজ্জামান মানিক (৪৫) ১৫ জুন দুপুর ১২টার দিকে সাদা পোশাকে মোটরসাইকেলে নিয়ে নিশানের বাড়িতে যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নিশান একটি দোকানে ঢুকে পড়েন। সেখানে গ্রেফতার করার চেষ্টা করলে তিনি কাছে থাকা বার্মিজ চাকু দিয়ে দুই পুলিশ সদস্যের শরীরে একাধিক আঘাত করে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমের পেট ও বুকে এবং কনস্টেবল মানিকুজ্জামান মানিকের হাতে ছুরিকাঘাত করা
হয়। এ ঘটনায় ১৬ জুন সদর থানায় তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশকে ছুরিকাঘাতের মামলা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান জানান, পুলিশের ওপর হামলার পর থেকে মুরাদুন্নবী বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেন। বুধবার রাত ৩টার দিকে গোপনে খবর পেয়ে সোনাতলার নওদাবগা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।