X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা বলে পরিবারবিচ্ছিন্ন হয় আজিমপুরের ‘জঙ্গি’

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০৮:০০আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০৮:০৪

নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরী ওরফে করিম ওরফে শমসের মালয়েশিয়ার যাওয়ার কথা বলে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আজিমপুরে নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরী। নিহতের বাবা এস এম বাতেন কাদেরীর সূত্রে বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান।

ওসি জানান, নিহত এ ‘জঙ্গির’ বাবা, বড় বোন ও ভগ্নিপতিকে সোমবার দুপুর আড়াইটায় গাইবান্ধা সদর থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ সময় তানভীরের বাবা পুলিশকে জানান, তার ছেলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ২৭ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে পরিবার নিয়ে মালয়েশিয়া যাবে বলে এ বছরের এপ্রিলে জানিয়েছিল। এরপর থেকে তার সঙ্গে পরিবারের আর কোনও যোগাযোগ হয়নি।

জানা যায়, সাংগঠনিক নাম আব্দুল করিমের আড়ালে ঢাকার আজিমপুরে নিহত জঙ্গির প্রকৃত নাম তানভীর কাদেরী। তানভীরের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের পশ্চিম বাটিকামারি। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে সবার ছোট।

নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরী ওরফে করিম ওরফে শমসের ২ তানভীরের শিক্ষা ও কর্মজীবন সম্পর্কে বাতেন কাদেরী জানান, ঢাকা কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক নিহত এই ‘জঙ্গি’। পরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করে। এরপর তিনি ডাচ বাংলা ব্যাংকে চাকরি পায়। তানভীরের যমজ ছেলে সন্তান রয়েছে।

বিকাল সাড়ে ৫টায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নিহতের নামে গাইবান্ধা সদর থানায় কোনও মামলা ছিল না।

বুধবার পশ্চিম বাটিকামারি গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তানভীর কাদেরীর বাবা ও তাঁর পরিবারের লোকজন গ্রামের মানুষের সঙ্গে খুব একটা মিশত না। ঈদের সময় তানভীর দামি গাড়ি নিয়ে বাড়িতে আসতো। ‘বেশি বেতনের ভালো চাকরি’ করতো বলেই স্থানীয়রা জানতেন। তার স্ত্রীও ‘বেশি বেতনের চাকরি’ করতেন। জানা যায়, তানভীরের বাবা আগে চাকরি করতেন। এখন জর্দার ব্যবসা করেন।

উল্লেখ্য, ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানের সময় তানভীর মারা যায়। এ সময় আটক হয় আরও তিন নারী ‘জঙ্গি’।

/এইচকে/আপ-এনএস/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে গিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে গিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
শান্ত-লিটনদের ব্যাটিং দেখে ভয় হচ্ছে বিসিবি সভাপতির
শান্ত-লিটনদের ব্যাটিং দেখে ভয় হচ্ছে বিসিবি সভাপতির
প্লে অফের দিন বেছে নিতে দুই ক্লাবকে চিঠি
প্লে অফের দিন বেছে নিতে দুই ক্লাবকে চিঠি
সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাজনৈতিক মামলা
অরাজনৈতিক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশসিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাজনৈতিক মামলা
সর্বাধিক পঠিত
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র