গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে স্থগিত হওয়া ভোটগ্রহণ চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে ভোট শুরু হয়েছে রবিবার সকাল ৮টা থেকে। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ী দুই উপজেলায় ১৩২টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। দুই উপজেলার ৪ লাখ ১১ হাজার ৮৫৪ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভোটগ্রহণের শুরু থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে লাইনে দাঁড়িয়ে নারী-পুরুষরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। তবে ভোটার উপস্থিতি একেবারের কম।
সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাদুল্যাপুর মডেল বহুমুখী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটগ্রহণে ৬টি বুথ করা হয়েছে। তরফবাজিত দাখিল মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রেও ভোটার উপস্থিতি তেমন চোখে পড়েনি। তবে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রিজাইটিং অফিসার রেহানা বেগম বলেন, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এখন ভোটারের উপস্থিতি কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতিও বাড়তে পারে বলে আশা করেন তিনি।
এদিকে, সকাল সাড়ে ৮টায় নিজ এলাকার ভাতগ্রাম স্কল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি ডা. ইউনুস আলী সরকার।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি সংগঠন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। নৌকার বিজয় নিশ্চিত। বিপুল ভোটেই নৌকার জয় হবে।
অপরদিকে, সকাল সাড়ে ৯টায় জাসদের প্রার্থী মশাল প্রতীকে ভোট প্রদান করেন ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
এসময় তিনি বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট সম্পন্ন হলে মশালের জয় হবে। সাধারণ মানুষ পরিবর্তনের লক্ষ্যে মশালে ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করবেন।
এ আসনে মহাজোটের তিন প্রার্থীসহ ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ৪ লাখ ১১ হাজার ৮৫৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কঠোর নিরাপত্তা রয়েছে দুই উপজেলাজ জুড়েই।
এছাড়া মাঠে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের টহলে দেখা গেছে। ভোট কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, সুষ্ঠুভাবেই ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।