X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

হিলিতে খরা-অনাবৃষ্টিতে আমন ক্ষেতে ফাটল, বেড়েছে পোকামাকড়ের আক্রমণ

হিলি প্রতিনিধি
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:০১আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:০৪

পানির অভাবে ফেটে গেছে আমন ক্ষেত দিনাজপুরের হিলিতে বোরো মৌসুমের ক্ষতি  পুষিয়ে নিতে চলতি মৌসুমে আমন আবাদ করে কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। আমন ধান রোপনের পর থেকেই বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ও তীব্র খরার কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আমন ক্ষেত শুকিয়ে গিয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে করে আমন ধানের চারা রোদে পুড়ে গিয়ে  হলদে বর্ণ ধারণ করেছে। সেই সঙ্গে ক্ষেতে প্রচুর আগাছা জন্মেছে। ফলে কৃষকদের বাড়তি খরচ যেমন হচ্ছে তেমনি চলতি মৌসুমে আমনের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা করছেন কৃষকরা।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, তিনটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলিয়ে হাকিমপুর উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে আট হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে। এরইমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ৮ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে। 

হিলির বোয়ালদাড় গ্রামের কৃষক কাওসার আহম্মেদ ও হাসান আলী নামে দুই কৃষক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা কৃষকরা বোরো মৌসুমে ধানের দাম না পাওয়ায় ধান লোকশানের মধ্যে পড়ে গিয়েছি। বোরোর সেই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে চলতি মৌসুমে আমন ধান চাষাবাদের দিকে ঝুঁকেছিলেন কৃষকরা। প্রতিবছর সাধারণত বৃষ্টির পানিতেই আমন ধান রোপন করা হয়। কিন্তু এবছর চারা রোপনের পর থেকেই চাহিদা মোতাবেক বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং তীব্র খরার কারণে আমনের ধান ক্ষেতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ধানের পাতাগুলো শুকিয়ে হলদে রঙ হয়ে যাচ্ছে। ধানের গাছগুলো বসে যাওয়াসহ ক্ষেতে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে।

তারা জানান, ক্ষেতে পানি না থাকায় প্রচুর  আগাছা জন্মেছে এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে কৃষকরা জমিতে সার প্রয়োগ করতেও পারছেন না। আবার প্রচুর আগাছা হওয়ায় সেগুলো পরিষ্কার করতে বাড়তি শ্রমিকের প্রয়োজন হচ্ছে। এতে করে বাড়তি খরচ হচ্ছে। পানির চাহিদা মেটাতে অনেক কৃষক এরমধ্যেই শ্যালো মেশিন বসিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছেন। এভাবে  বৃষ্টিপাত যদি না হয় তাহলে   কৃষকরা শেষ হয়ে যাবে। আমরা কৃষকরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো— প্রশ্ন করেন এই দুই কৃষক।

সেচের কারণে খরচা বেড়ে যায় কৃষকের হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা নাজনীন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, চলতি মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলায় ৮ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে। এতে করে আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল সেটি অর্জিত হয়েছে। ধানের বর্তমান অবস্থা ভালো রয়েছে, তবে বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে কিছু কিছু জমিতে রসের অভাব রয়েছে। আমরা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের সেচযন্ত্র চালু করার পরামর্শ দিয়েছি। কিছু কৃষক ইতোমধ্যেই তাদের সেচযন্ত্র চালু করে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। আশা করি, বৃষ্টিপাত হলে ধানের আবাদ বিঘ্নিত হবে না।

এদিকে গত দুদিনে হিলিতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় জমিতে যে রসের অভাব দেখা দিয়েছিল তা কিছুটা মিটছে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আরও বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন রয়েছে।’ 

/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
ন্যাশনাল ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, নিয়োগ পেলেন ১০ জন 
ন্যাশনাল ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, নিয়োগ পেলেন ১০ জন 
স্বস্তির জয়ে শিরোপার লড়াইয়ে ফিরলো লিভারপুল
স্বস্তির জয়ে শিরোপার লড়াইয়ে ফিরলো লিভারপুল
ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহি চায় ঢাকা
ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহি চায় ঢাকা
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
সব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি হারুনসব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী