X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসি মানুষের

নীলফামারী প্রতিনিধি
২২ অক্টোবর ২০২১, ১৮:৩৯আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২১, ১৮:৩৯

নীলফামারীর ডিমলা-ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার বন্যার উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমেনি জেলার ডিমলা ও জলঢাকার বানভাসি মানুষের। বন্যা পরবর্তী তিস্তা পারের মানুষের দিন কাটছে চরম দুর্ভোগে। পরিবার-পরিজন নিয়ে বিড়ম্বনায় রয়েছেন ওই দুই উপজেলার ৩০ গ্রামের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৬০) ৫৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গত বুধবার (২০ অক্টোবর) ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে ওই পয়েন্টে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হয়। এসময় ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তাবেষ্টিত এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করে।

গত মঙ্গলবার শুরু হওয়া বন্যায় নীলফামারী জেলার দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ ওই দুই উপজেলার (ডিমলা ও জলঢাকা) হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। সবাই জীবন বাঁচার তাগিদে বাড়িঘর সরানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় বানভাসিদের হাতে কাজ না থাকায় আয় উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। বন্যার পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় রান্না ঘরে চুলা পর্যন্ত জ্বলছে না। কোনও রকমে শুকনা খাবার খেয়ে দিন যাপন করছেন হাজার হাজার পরিবার। অপরদিকে, শিশু খাদ্য সংকটে পড়েছে বানভাসি পরিবারের অভিভাবকরা।

পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসি মানুষের

নীলফামারী ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম একবারে নদীর করাল গ্রাসে। ওই তিন গ্রামে বাস করেন অন্তত দশ হাজার মানুষ। নদীকে ঘিরে চলে তাদের জীবনযাত্রা। ফসলি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে বিপাকে পড়েছে। বাধ্য হয়ে উপজেলার বাইরে গিয়ে অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করে, রিকশা চালিয়ে এখন সংসার চালাতে হচ্ছে তাদের।

পূর্ব ছাতনাই কলোনি গ্রামের তোফাজ্জুল হোসেন (৫৭) বলেন, ভারতের বন্যা ও উজানের পাহাড়ি ঢল এলে তিস্তার পানি বেড়ে যায়। নিমেষেই তলিয়ে যায় এলাকার শত শত গ্রাম। রক্ষা করা যায়নি বসতভিটা, গরু ছাগল, হাঁস, মুরগী, জমির ফসল ও শত শত একর পুকুরের মাছ।

তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমেনি জেলার বিশেষ করে ডিমলার ছয়টি ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষের। এখনও পানিতে তলিয়ে রয়েছে নিম্নাঞ্চলসহ কিছু কিছু ঘরবাড়ি। সরকারিভাবে যেটুকু সহযোগিতা করা হচ্ছে, সেটিও পর্যাপ্ত নয়।

পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসি মানুষের

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, বানভাসি মানুষের বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন জরুরি হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়ি স্থাপনসহ আর্থিক সহায়তার একান্ত দরকার।

জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বন্যা কবলিত এলাকার প্রায় ৪৯ মেট্রিক চাল, ১০ লাখ টাকা ও প্রচুর শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী যেখানে যতটুকু লাগে দেওয়া হবে। তাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস