গাইবান্ধা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এন্তাজুর রহমান এন্তাজ (৬৮) মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের পুনতাইর (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মো. এন্তাজুর রহমান ১৯৫৪ সালের ১ জানুযারি পুনতাইর (দক্ষিণপাড়া) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ওই গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে এন্তাজুর রহমান ৭ নং সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধের সময় হলদিয়াসহ বিভিন্ন চর এলাকার সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তার লাল মুক্তিবার্তা নং-৩১৭০৭০০৭০।
এন্তাজারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ফুপাত ভাই বিপ্লব মিয়া জানান, বার্ধক্যজনিত নানারোগে অসুস্থ হয়ে নিজ বাড়িতে সোমবার রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় নিজ বাড়ি চত্বরে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। এরআগে তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করবে উপজেলা প্রশাসন।
তিনি আরও জানান, রংপুর চিনিকলের (মহিমাগঞ্জ) আখ ক্রয় কেন্দ্রের ডাব্লিউসি পদে চাকরি শেষে অবসর নেন তিনি। জাসদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এন্তাজুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর পরই সংসদ সদস্য (এমপি) পদের প্রার্থী ছিলেন। এছাড়া দীর্ঘদিন গাইবান্ধা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এদিকে, বীর মুক্তিযোদ্ধা এন্তাজুর রহমানের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসছে। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ প্রধানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, জেলা ও উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ জনপ্রতিনিধিরা।
এছাড়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও তার মৃত্যুতে শোক জানানো হয়েছে।