ঢাকার সিজেএম আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। দুই জঙ্গি কোনোভাবেই যাতে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে পালাতে না পারে সেজন্য হিলি সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। একইসঙ্গে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২০ নভেম্বর) বিকালে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বিজিবি ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়। এরপর থেকে সংশ্লিষ্টরা সীমান্তে ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেন।
পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এর মধ্যে একজন মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান (২৪)। সে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। অপরজন আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব (৩৪)। সে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেটশ্বর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
জয়পুরহাট-২০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ সংক্রান্ত একটি বিশেষ নির্দেশনা আমরা পেয়েছি। সে মোতাবেক কার্যকরী ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতোমধ্যে সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত আমার অধীনস্থ সব বিওপিকে সতর্ক থাকতে বলেছি। একইভাবে হিলি আইসিপি চেকপোস্টকে সতর্ক থাকতে বলেছি। পাশাপাশি সীমান্তে বিজিবির পক্ষ থেকে টহল বাড়ানো হয়েছে। যাতে দুই জঙ্গি কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে।’
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি মো. বদিউজ্জামান বংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। জঙ্গিরা কোনোভাবেই যাতে এই পথ দিয়ে ভারতে না যেতে না পারে সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতোমধ্যে ওই নামগুলো ব্লক করে দিয়েছি। ওই নামের কেউ এই পথ দিয়ে যেতে চাইলে অবশ্যই ধরা পড়বে।’
প্রসঙ্গত, দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আনসার আল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাদের সহযোগীরা। দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পারলে প্রত্যেকের জন্য ১০ লাখ টাকা করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ।