সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় স্কুলছাত্রী হত্যার ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরেও গ্রেফতার হয়নি ঘাতক ইয়াহিয়া। এ ঘটনায় আজ পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়েরের কথা রয়েছে। নিহত মুন্নীর মামা আজিজুর রহমান সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা লাশের দাফন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তাই এখনও মামলা করতে পারিনি। আজকে মামলা দায়ের করা হবে।’
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মুন্নী দিরাই উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে মুন্নীর বাসায় ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে ইয়াহিয়া নামের এক যুবক। ইয়াহিয়াকে বখাটে হিসেবে অভিহিত করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের দাবি, হত্যাকারী ইয়াহিয়া ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাকে ছাত্রলীগের মিছিলে দেখা যেত। তবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ।
এ ব্যাপারে দিরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. উজ্জ্বল মিয়া বলেন, ‘ইয়াহিয়া ছাত্রলীগের কোনও কর্মী নয়। এটি একটি অপপ্রচার। উপজেলা ছাত্রলীগ কিংবা পৌর কমিটির কোথাও তার নাম নেই।আমরা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এই হত্যকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং আসামিকে গ্রেফতারের দাবি জানাই। ’
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক সোহেল আহম্মদ বলেন, ‘বখাটে ইয়াহিয়া ছাত্রলীগের কেউ নয়। খবর নিয়ে জেনেছি, সে দিরাই পৌর এলাকার সেন মার্কেটের একটি দোকানে সেলসম্যানের চাকরি করত। যে চাকরি করে সে তো ছাত্রলীগের কেউ হতে পারে না।’
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘাতক ইয়াহিয়াকে গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশের অভিযান চলছে। তাকে খুব দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’
এ খুনের বিচার দাবি করে তার মামা আজিজুর রহমান বলেন, ‘মুন্নী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার মা রাহেলা বেগম এবং ইতালি প্রবাসী বাবা হিফজুর রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। রাহেলা বেগমকে ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তবে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।’
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হুমায়রা আক্তার মুন্নীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে ইয়াহিয়া নামের এক যুবক। শনিবার রাতে মুন্নীর বাসায় ঢুকে এ ঘটনা ঘটায় সে।