‘চায়ের দেশ’ খ্যাত জেলা মৌলভীবাজারে কমছে না শীত। বিশেষ করে চা-শিল্পাঞ্চল এলাকা শ্রীমঙ্গল উপজেলায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূতি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে তাপমাত্রা ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল। আজ সকালবেলা কুয়াশা ভেদ করে সূর্য ওঠায় শীত তেমন একটা অনুভূত হচ্ছে না। তবে পাহাড়ি এলাকা ও চা-বাগানবেষ্টিত নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে শীতের প্রভাব পড়েছে।
জেলায় সরকারিভাবে তেমন একটা শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ না হলেও ব্যক্তিপর্যায়ে বিপুল পরিমাণ শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, শীতজনিত রোগে কাবু হয়ে পড়েছেন বয়স্ক, শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা। মানুষের পাশাপাশি ভীষণ কষ্টে রয়েছে গবাদি প্রাণীও।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান এলাকার বাসিন্দা জসিম মিয়া বলেন, ‘গ্রাম এলাকায় শীত একটু বেশি। যদিও চারদিকে পাহাড়ি এলাকা তাই শীত নিয়ে কষ্ট করে কাজকর্ম করতে হয়।’
বাইক্কাবিল হাইল এলাকার বাসিন্দা মিন্নত আলী বলেন, ‘হাওর এলাকায় শীত একটু বেশি থাকে। রোদ থাকায় শীনিম্ন আয়ের মানুষের তের তীব্রতা থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যায়। না হলে বাড়িঘর থেকে বের হওয়া অসম্ভব ছিল।’
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে।