হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের হরিধরপুর গ্রামে সুদের টাকার জন্য সুয়েব মিয়া (৬) নামে এক শিশুর হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত শিশুটিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের হরিধরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের হরিধরপুর গ্রামের মৃত আলম উল্লাহর ছেলে ফুরুক মিয়ার কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়েছিলেন একই গ্রামের সায়েদ মিয়া। নির্ধারিত সময়ের আগেই টাকা আদায়ের জন্য ফুরুক মিয়া তার লোকজন নিয়ে সায়েদ মিয়ার বাড়িতে যান। কিন্তু তিনি বাড়িতে না থাকায় তার স্ত্রীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ফুরুক মিয়া সায়েদ মিয়ার স্ত্রীর ওপর হামলা চালান। এ সময় মাকে রক্ষা করতে ছুটে আসে ছয় বছরের শিশু সুয়েব। কিন্তু ফুরুক মিয়া তাকে তুলে নিয়ে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন, ফলে শিশুটির হাত ভেঙে যায়।
স্থানীয়রা দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সুয়েবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
শিশুর বাবা সায়েদ মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ফুরুক মিয়ার সুদের টাকা ঈদের ১০ দিন পর পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু সে হঠাৎ এসে আমার স্ত্রীর ওপর হামলা চালায়। আমার ছেলে যখন তার মাকে বাঁচাতে আসে, তখন তাকে তুলে নিয়ে মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেয়। আমি গরিব দিনমজুর, ইট ভেঙে সংসার চালাই। এখন ছেলের চিকিৎসার খরচ কীভাবে চালাবো, জানি না! এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দ্রুত দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফুরুক মিয়া বলেন, পাওনা টাকা নিয়ে মহিলারা ঝগড়া করেছে, কীভাবে সুয়েব মিয়ার হাত ভাঙছে আমি জানি না।
নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।