জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর রশীদ জার্মানির হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ চেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ- এর জন্য তাকে চেয়ার নির্বাচিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেড় যুগের বেশি সময় পর জার্মানির হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটিতে আবারও বাংলাদেশ চেয়ার চালু হলো।
বুধবার (৩১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগ এ তথ্য জানায়। এতে আরও জানানো হয়, বুধবার (৩১ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিট দ্য প্রেসে হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ চেয়ার নির্বাচিত হওয়ার তথ্য প্রকাশ করে।
অনলাইন প্লাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর রশীদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেন হোল্টজ, জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশররফ হোসেন ভুঁইয়া, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং জার্মানি ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত যুক্ত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপক হারুন-অর রশীদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ পেলেন।
উল্লেখ্য, জার্মানির বিখ্যাত হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধ্যাপকদের কাছ থেকে এ বিষয়ে আবেদন গ্রহণের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। গত ২২ মার্চ ইউজিসি ও হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ চেয়ার নির্বাচন বিষয়ে অনলাইন প্লাটফর্মে একটি সভা করেন। বিস্তারিত আলোচনা শেষে ইউজিসি কর্তৃপক্ষ সর্বসম্মতিক্রমে তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে অধ্যাপক হারুনকে নির্বাচিত করেন।
বাংলাদেশ চেয়ার এর আওতায়, ড. হারুন হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটে যোগ দেবেন। তিনি চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (সামার সেমিস্টার) কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। ছাত্র-ছাত্রীদের তিনি প্রতি সপ্তাহে একটি ক্লাস নেবেন। তার লেকচারে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য নেতৃত্ব, কর্ম ও আদর্শকে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করবেন।
ফেলোশিপের আওতায় অধ্যাপক হারুন ‘বাংলাদেশ লেকচারস’নামে দুটি পাবলিক লেকচার প্রদান করবেন। সেখানকার বিভাগীয় সভা, সেমিনার, কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করবেন। একইসঙ্গে তিনি গবেষণা কার্যক্রমে অংশ নেবেন। জার্মান সহকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে শিক্ষণের নতুন উদ্যোগ ও উদ্ভাবনে কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ চেয়ার’ (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ) স্থাপন করা হয়। চালু হওয়ার প্রথম দুই বছরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষকরা এ ফেলোশিপের আওতায় যোগ দেন।