X
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি, তদন্ত প্রতিবেদন আগামী সপ্তাহে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২২ জুন ২০২২, ১৮:৫৩আপডেট : ২২ জুন ২০২২, ১৮:৫৩

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ’র বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। ইউজিসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানতে চাইলে  বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, তদন্ত শেষ পর্যায়ে। খুব শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে জমা দেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,  ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ’র বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিতে। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কিছুদিন আগে তদন্ত শুরু করে ইউজিসি।

২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে যোগদান করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে মেয়াদ শেষ হলে সরকার দ্বিতীয় দফায় তাকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়। দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পাওয়ার পর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ’র বিরুদ্ধে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।

নিয়োগ বাণিজ্য, নিয়োগে মেধাতালিকা ম্যানিপুলেট করা, সিন্ডিকেট সদস্যদের সন্তানদের চাকরি দিয়ে যোগসাজশ করে বিভিন্ন অবৈধ সিদ্ধান্ত নেওয়াসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মের বিষয় তুলে ধরে গত বছরের নভেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনোনীত আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মো. হাসানুল ইসলাম।

চিঠিতে আরেক সিন্ডিকেট সদস্যের বরাত দিয়ে মো. হাসানুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকরি স্থায়ী করার বিষয়টি সভায় এজেন্ডাভুক্ত করা হয়। কিন্তু এ নিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। নিয়োগে কোনও মেধা তালিকা মানা হয়নি। মেধা তালিকায় প্রথমদিকে থাকা অনেকের নাম তালিকায় নিচের দিকে রাখা হয়েছে।

মেধাতালিকা অবৈধভাবে ম্যানিপুলেট করার অভিযোগ আনেন এ সদস্য। চিঠিতে তিনি আরও জানান, বেশ কয়েক সিন্ডিকেট সদস্যের সন্তান এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছেন। কারও কারও ছেলে, মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজনও চাকরি পেয়েছেন।

হাসানুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলেন, সিন্ডিকেটের কতিপয় সদস্যের যোগসাজশে উপাচার্য নিয়োগ ও চাকরি স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা অবৈধ।

/এসএমএ/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মঙ্গোলিয়ার দাবাড়ুকে হারিয়ে ফাহাদের মুখে হাসি
মঙ্গোলিয়ার দাবাড়ুকে হারিয়ে ফাহাদের মুখে হাসি
চেয়ারম্যান হলেন ৯ এমপির স্বজন, হেরেছেন দুজন
চেয়ারম্যান হলেন ৯ এমপির স্বজন, হেরেছেন দুজন
জোসেলুর জোড়া গোলে ফাইনালে রিয়াল
জোসেলুর জোড়া গোলে ফাইনালে রিয়াল
চেয়ারম্যান হলেন এমপির ছেলে ও ভাই
চেয়ারম্যান হলেন এমপির ছেলে ও ভাই
সর্বাধিক পঠিত
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর’, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর’, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
এক লাফে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা
এক লাফে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা
ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ইস্যুতে ন্যাটোকে রাশিয়ার সতর্কতা
ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ইস্যুতে ন্যাটোকে রাশিয়ার সতর্কতা
ইউক্রেনে পাঠালে ফরাসি সেনাদের নিশানা করার হুমকি রাশিয়ার
ইউক্রেনে পাঠালে ফরাসি সেনাদের নিশানা করার হুমকি রাশিয়ার