X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

কারিগরি ও নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার ধরন পরিবর্তন নয়

এস এম আববাস
১২ নভেম্বর ২০২২, ২২:৩০আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২২, ২২:৩০

নারীদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে সহশিক্ষায় পরিবর্তন বা রূপান্তর করা যাবে না। একইভাবে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে সাধারণ শিক্ষাধারায় পরিবর্তন, বা সাধারণ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।

সম্প্রতি চূড়ান্ত করা ২০২২ সালের ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) স্থাপন, পাঠদান ও অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান নীতিমালা’য় এমন বিধিবিধান যুক্ত করা হয়েছে। আর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করার ক্ষেত্রে ২০০৯ সালে জারি করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার বিষয়টি সংযুক্ত করা হয়েছে নতুন নীতিমালায়।

নতুন নীতিমালার ৫.৩ ধারায় বলা হয়, ‘প্রতিষ্ঠানের ধরন রূপান্তর: বালিকা/নারীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠাকে সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধরন পরিবর্তন/রূপান্তর করা যাবে না। বালক বিদ্যালয়/মহাবিদ্যালয়কে সহশিক্ষায় রূপান্তর করা যাবে।’

নীতিমালার ৫.৪ ধারায় বলা হয়, ‘কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সাধারণ শিক্ষায় পরিবর্তন/রূপান্তর করা যাবে না এবং সাধারণ শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নারী শিক্ষার প্রতিষ্ঠান ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল রয়েছে। এই সুযোগ নেওয়ার জন্য অনেকে বালিকা বিদ্যালয় করে সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করে। আবার শর্ত শিথিলের সুযোগ নিয়ে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করে সাধারণ ধারায় রূপান্তর করে। এটি বন্ধ করতে নতুন নীতিমালায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধরন ও শিক্ষাধারা পরিবর্তন না করার বিধিবিধান যুক্ত করা হয়। এটি ভালো উদ্যোগ।’

২০২২ সালের নতুন নীতিমালায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পাঠদান অনুমোদন ও অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতির অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা শিক্ষা বোর্ডকে দেওয়া হলেও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে প্রতিষ্ঠান করার ক্ষেত্রে তা দেওয়া হয়নি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান করতে সরাসরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে বলা হলেও বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্য, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৭ বীরশ্রেষ্ঠ, অমর একুশের ভাষা শহীদ, সরকার বিবেচিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে হলে আবেদন করতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। এরপর মন্ত্রণালয় সেটি যাচাই-বাছাই করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদনের জন্য পেশ করবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর এসব ব্যক্তির নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা যাবে। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে নামকরণ করতে কোনও অর্থ জমা দিতে হবে না।

মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার প্রতিযোগিতা শুরু হলে ২০০৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক আদেশ জারি করে। ওই আদেশে বলা হয়েছিল— বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্য, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৭ বীরশ্রেষ্ঠ, অমর একুশের ভাষা শহীদ, সরকার বিবেচিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আবেদন যাচাই-বাছাই করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদনের জন্য পেশ করবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে নামকরণ করতে পারবে। এই বিধিবিধানটি নতুন নীতিমালায় যুক্ত করা হয়েছে।

আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্য, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সাত বীরশ্রেষ্ঠ, অমর একুশের ভাষা শহীদ, সরকার বিবেচিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে প্রতিষ্ঠান করতে হলে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ৩০ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) স্থাপন, পাঠদান ও অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান নীতিমালা-২০২২ জারি করে। নতুন নীতিমালায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পাঠদান ও অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতির দায়িত্ব দেওয়া হয় শিক্ষা বোর্ডগুলোকে।

/এপিএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
যাত্রাবাড়ীতে গরমে মাংস ব্যবসায়ীর মৃত্যু
যাত্রাবাড়ীতে গরমে মাংস ব্যবসায়ীর মৃত্যু
পাঁচ জেলায় চলছে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট
পাঁচ জেলায় চলছে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট
ঢাকাই নির্বাক ছবির মস্কো জয়, যেমনটা বললেন নির্মাতা
ঢাকাই নির্বাক ছবির মস্কো জয়, যেমনটা বললেন নির্মাতা
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে