সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ সোমবার (৫ জুন) থেকে আগামী ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলেও কিন্ডারগার্টেন খোলা রাখা হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে বিদ্যালয় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এখন বন্ধ করা হচ্ছে না।
সোমবার বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান এম ইকবাল বাহার চৌধুরী পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এম ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, সরকার কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধের নির্দেশ দেয়নি।
প্রসঙ্গত, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণার পর সোমবার (৫ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে প্রচার করা হয়। এরপর বিকালে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ তাদের বিজ্ঞপ্তি পাঠায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় এই কোমলমতি শিশুদের লেখাপড়ার অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে। যে শিশুটা ২০০০ সালে আমাদের প্রাক প্রাথমিকে ছিল ২০২৩ সালে তারা বড় হয়ে যাওয়ার কারণে তাদের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকে বাধ্য হয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করাতে হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্তে সপ্তাহে স্কুল দুই দিন বন্ধ, তাছাড়া সরকারি বিভিন্ন নির্দেশনায় বন্ধ তো আছেই। আমরা যেহেতু সরকারি সকল সিদ্ধান্ত মেনেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করছি সেহেতু সরকার যদি আমাদেরকে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিত তাহলে আমরাও বন্ধ রাখতাম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি সংশ্লিষ্ট সকল নোটিশে বেসরকারি/কিন্ডারগার্টেনের কথা উল্লেখ থাকে কিন্তু ৪ জুনের নোটিশে কিন্ডারগার্টেনের কথা উল্লেখ নেই। সরকারি স্কুলগুলোয় শিক্ষার্থীদের জন্য সরকার অনেক সুযোগসুবিধা দেওয়ার পরও যেহেতু অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভালো ও উন্নত লেখাপড়ার জন্য কিন্ডারগোর্টেনে ভর্তি করেন তাই তারা আমাদের থেকে একটু বেশি আশা করেন। অভিভাবকদের আশার প্রতিফলনের জন্য আমার প্রতি শ্রেণিতে নিদিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করাই। তাই সরকারি স্কুলের মতো আমরা কোনও ক্লাসে গাদাগাদি করে ছাত্রছাত্রীদের বসাই না। প্রতি বেঞ্চে ১ থেকে ২ জনের বেশি শিক্ষার্থী কিন্ডারগার্টেনগুলোতে বসানো হয় না।
বিজ্ঞপ্তিতে আর জানানো হয়, প্রাক-প্রাথমিক থেকে ২য়/৩য় শ্রেণির ক্লাস আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সকাল ৮টা-সাড়ে ৮টার মধ্যে শুরু করে ১১টার আগে ছুটি দিয়ে দেই। ফলে এই গরমে আমাদের শিক্ষার্থীদের তেমন বেশি সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। একদিকে সরকার কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধের নির্দেশ দেয়নি, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার কথা বিবেচনা করে আমরা আপাতত স্কুলগুলো বন্ধ না দিয়ে খোলা রেখেছি। যদি তাপপ্রবাহ আরও অধিক হয়, সরকার ছুটি বৃদ্ধি করে সার্বিক বিবেচনায় তখন আমরাও সরকারি নির্দেশ মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।