কী কী করতে পারেন আপনি? অভিনয়, নাচ- আর কী? আর কোনটাই বা আপনার মূল শক্তি!
সব প্রশ্ন বেশ সামলে গেলেন। সামনে ঝুঁকে এসে বললেন, ‘আমি বোধহয় অভিনয়টাই ভালো করতে পারি!'
ব্যস, এটুকুই বললেন!
ও, সঙ্গে টোল ফেলা দুই গালের হাসিটাও ছিল!
পায়েল মুখার্জি। কলকাতার মেয়ে। এবারই প্রথম কাজ করছেন ভিনদেশ অর্থাৎ বাংলাদেশের ছবিতে। ছবির নাম ‘শ্যাওলা। একেবারে তাকে ঘিরেই ছবিটি।
ঢাকায় এসেছেন শনিবার। আর রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় কথা বললেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। পাশে সবসময়ই ছিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। ছবিতে নায়ক হিসেবে সঙ্গে পাচ্ছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কথা বললেন তারা। উত্তর দিলেন সব প্রশ্নের।
নায়ক ফেরদৌসের চরিত্রটি আসলে কী?
ফেরদৌস: আমাকে এখানে দেখা যাবে মাঝি চরিত্রে। মূলত কেন্দ্রীয় চরিত্রটি এক সংগ্রামী মেয়ের। যাকে আমরা বাংলার প্রতি প্রান্তরেই দেখেছি। এটাতেই দেখা যাবে পায়েলকে।
এখন তো অনেকে চাকচিক্যময় চরিত্রর দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। আপনি কেন গ্রামের এমন একটি চরিত্র বেছে নিলেন?
ফেরদৌস: কারণ এর গল্প। এটি অসাধারণ।
আর কোনও মজার কারণ আছে?
ফেরদৌস: আমি কিন্তু বেশ কয়েকটি ছবি করেছি নতুন পরিচালকদের সঙ্গে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’, এনামুল করিম নির্ঝরের ‘আহা!’ সামিয়া জামানের ‘রানীকুঠির বাকি ইতিহাস’, একে সোহেলের ‘খায়রুন সুন্দরী’সহ ১০-১২টি ছবি হবে। মজার বিষয় হলো, এগুলোর বেশিরভাগই কিন্তু হিট বা তুমুল প্রশংসিত। এবার পরিচালক বাপ্পি ও এহসানও নবীন। দেখা যাক না কেমন হয়!
পায়েলের সঙ্গে আগে পরিচয় ছিল?
ফেরদৌস: না, একদমই না। এ ছবির মাধ্যমে পরিচয়।
আর পায়েল কতটা চেনেন ফেরদৌসকে?
পায়েল: আমি তো ফেরদৌস দাদার ভক্ত! ফেরদৌস ভাই বাংলাদেশের মতোই কলকাতায় জনপ্রিয়। উনার সঙ্গে আগে দেখা না হলেও তার অনেক ছবি আমি দেখেছি।
এদেশের চলচ্চিত্র সম্পর্কে কতটুকু ধারণা?
পায়েল: বাংলাদেশের ছবির আমি দেখি। এমনকি নাটক, টেলিছবিও দেখা হয়। তাই ধারণা বেশ আছে। এবার তো কাজ করার সুযোগই হচ্ছে।
কলকাতায় তো অল্প বিস্তর কাজ করেছেন। সে অভিজ্ঞতা কেমন?
পায়েল: আমি দুটি ছবিতে কাজ করেছি। আর কিছু সিরিয়ালে ভালো কিছু পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে।
শেষ প্রশ্ন, ঢাকায় আসার পর সবচেয়ে বেশি কোন বিষয়ে প্রশংসা পেয়েছেন?
পায়েল: আমার গালের টোল! এটা তো দেখছি কলকাতার কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীর মতোই ঢাকা আমাকে একইভাবে প্রশংসা করছে।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন
/এম/