২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু স্মারক ভাস্কর্য চত্বরে হয়েছিল ‘কনসার্ট ফর ফাইটার্স'। যা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী-সাংবাদিক প্রয়াত সঞ্জীব চৌধুরী।
১১ বছর পর সে কনসার্ট আবারও ফিরে এসেছে। গত দুই মাস যাবত একই শিরোনামে ধারাবাহিক কনসার্ট হয়ে আসছে দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। যার বড় ও শেষ আয়োজনটি হবে আগামী ১২ জানুয়ারি একই স্থানে, টিএসসি রাজু স্মারক ভাস্কর্য চত্বরে।
যার অনুপ্রেরণায় এ কনসার্ট শুরু হয়েছিল- সেই সঞ্জীব চৌধুরীকেই উৎসর্গ করা হয়েছে এবারের আয়োজনটি।
গত বছর ১৬ নভেম্বর থেকে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসার্টটি আয়োজন করে আসছে ঢাকা, জগন্নাথ ও বুয়েটের বেশ কয়েকজন সাংস্কৃতিক কর্মী। এই ট্যুরিং কনসার্ট হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট ও জগন্নাথসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
মূলত ১৬ নভেম্বর টিএসসি থেকে এ ভ্রাম্যমাণ কনসার্ট শুরু হয়। যার শেষ কনসার্টটিও হবে একই জায়গায়। এবারের আয়োজনটি করা হয়েছে গোবিন্দগঞ্জের নির্যাতিত সাঁওতাল আদিবাসী সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
আয়োজকরা জানান, কনসার্টগুলোতে কোনও বিজ্ঞাপন বা স্পন্সর রাখা হচ্ছে না। টি-শার্ট, স্টিকার ও পোস্টার বিক্রি আর গান গেয়ে চলছে অর্থ সংগ্রহ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আয়োজকদের একজন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সঞ্জীব চৌধুরী আমাদের অনুপ্রেরণা। তাই ১১ বছর পর আবার যখন এটি আয়োজন করার পরিকল্পনা হয়, তাকেই আমরা এটি উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নিই। আমরা একটি কমিটির মাধ্যমে প্রতি বছর এ আয়োজনটি চালিয়ে যেতে চাই। আগামীতেও এটি হবে। আর এবারের সংগৃহীত অর্থটা মূলত নির্যাতিত সাঁওতাল আদিবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস ও নির্মাণ আমরা করে দিতে চাই।’
২০০৫ সালের সেই কনসার্টটি:
তিনি আরও জানান, ২০০৫ সালে টিএসসি চত্বরের ‘কনসার্ট ফর ফাইটার্স’-এর বেশ কয়েকজন শিল্পী এবারের আয়োজনে গাইবেন। এছাড়া অনেকে উপস্থিত থাকবেন।
১২ জুন দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলা এই কনসার্টে গাইবে মাকসুদ ও ঢাকা, অবসকিওর, মেঘদল, সহজিয়া, মাদল, শহরতলী, সমগীত, চিৎকার, মনোসরণি, লীলা, গানপোকা, সীনা হাসান এবং আদিবাসী মেয়েদের ব্যান্ড এফ-মাইনর। সংগীতশিল্পীদের মধ্যে আছেন কফিল আহমেদ, পথিক নবী ও কৃষ্ণকলিসহ অনেকে।
কনসার্টটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
/এমআই/এমএম/
