X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

‘গানে যদি দ্বার খোলাই সম্ভব, তাহলে ২০০১ সালে জঙ্গি হামলা হতো না’

বিনোদন রিপোর্ট
২৫ মার্চ ২০১৭, ০০:০৭আপডেট : ২৫ মার্চ ২০১৭, ০০:২২

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সন্‌জীদা খাতুন ‘‘মঞ্চে বসে গান গেয়ে সমস্ত দেশবাসীকে জানানো সম্ভব নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘আমি হাত দিয়ে দ্বার খুলবো নাকো, আমি গান দিয়ে দ্বার খোলাবো।’ পরে বুঝেছি, এটা আসলে ভাবের কথা। যদি এটা হতোই তাহলে ২০০১ সালে জঙ্গি হামলা (রমনার বটমূলে) হতো না। মঞ্চে বসে নয়, সংস্কৃতিটা নানাভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।’’

কথাগুলো বলছিলেন বাঙালি সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম পথিকৃত ও সাংস্কৃতিক বিদ্যাপীঠ ছায়ানটের সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন।
১৯৬৭ সালে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর চোখ রাঙানিকে পাশ কাটিয়ে প্রথমবারের মতো রমনার বটমূলে আয়োজন করা হয়েছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর গত ৫০ বছরের এ স্থানটিই হয়ে উঠেছে বাঙালি চেতনার বাতিঘর। একইভাবে প্রায় প্রতিটি বছর এ আয়োজনের মাধ্যমে বরণ করা হয়েছে বাংলা নববর্ষ। চলতি বছর বটমূলে বর্ষবরণ আয়োজনের ৫০ বছরপূর্তি হচ্ছে। এটি উদযাপনে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ছায়ানট। শুক্রবার বিকালে প্রতিষ্ঠানটির ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে  এভাবেই কথাগুলো বলেন সন্‌জীদা খাতুন।
ঘটনার প্রসঙ্গ ও সাম্প্রতিক পরিবেশ নিয়ে বারবারই ফিরে এসেছে ২০০১ সালে রমনার বটমূলে অনুষ্ঠান চলাকালীন সে হামলার কথা।
সন্‌জীদা খাতুন বর্তমান অবস্থা নিয়েও কথা বলেন। তুলে ধরেন নিরাপত্তা ও পরিবেশের বিষয়টি। তবে নিরাপত্তার ব্যাপারে তার মত ভিন্ন। বললেন, ‘একবার বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলেই সরকারিভাবে আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। শুধু আমাদের নয়, সবারই নিরাপত্তা দরকার। এটা কী সম্ভব! না, আমাদের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। গান, নাটক, কবিতার মাধ্যমে। যেন নিরাপত্তা বলয়ের প্রয়োজন না হয়।’

ঠিক এভাবেই আগামীর কোনও এক বর্ষবরণ অনুষ্ঠান দেখতে চান বাঙালি সংস্কৃতি লালন ও পালনের অন্যতম এ কাণ্ডারি।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয় সুবর্ণ জয়ন্তিতে তাদের পরিকল্পার কথা। এসময় স্বাগত কথন ছিল ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসার। উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী এবং সহ-সভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল। তারা জানান, বর্ষবরণের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে গতকাল (২৪ মার্চ)। এদিন সন্ধ্যায় সংগীতানুষ্ঠান হয়েছে। গাইছেন ছায়ানটের শিল্পীরা
পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলের মূল আয়োজনের আগে আরও ৩টি অনুষ্ঠান হবে। এগুলোর পরবর্তী তারিখ হলো- ৩১ মার্চ, ৭ এপ্রিল ও ১৩ এপ্রিল। অনুষ্ঠানগুলো হবে ছায়নট ভবনে। আর বরাবরের মতোই পয়লা বৈশাখের প্রথম প্রহরে রমনার বটমূলে বরণ করা হবে বাংলা নতুন বছর।
ছবি: ওয়ালিউল মুক্তা
/এম/

সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
‘দেওরা’ সফলতার পর ‘মা লো মা’ চমক
‘দেওরা’ সফলতার পর ‘মা লো মা’ চমক
জন্ম আর মৃত্যুর সুরেলা মেলবন্ধনের প্রতিধ্বনি
৩৫তম জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসবজন্ম আর মৃত্যুর সুরেলা মেলবন্ধনের প্রতিধ্বনি
যে গল্পের জন্ম ওষুধের দোকান থেকে!
যে গল্পের জন্ম ওষুধের দোকান থেকে!
উদ্বোধক মেরিল স্ট্রিপ, পাচ্ছেন স্বর্ণপাম
কান উৎসব ২০২৪উদ্বোধক মেরিল স্ট্রিপ, পাচ্ছেন স্বর্ণপাম
ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র
ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র