X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাপ্পা বললেন, মাফ চাইব কেন! এরা কারা?

ওয়ালিউল মুক্তা
১৮ মে ২০১৭, ০০:০৪আপডেট : ১৮ মে ২০১৭, ১৫:৩৩

বাপ্পারাজ/ ছবি: সংগৃহীত এবার নায়ক-নির্মাতা বাপ্পারাজের কথায় নাখোশ হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। সমিতির সদস্য হিসেবে ১৪ মে তাকে একটি আইনি চিঠি পাঠিয়েছে। তাতে উল্লেখ, ‘একটি জাতীয় দৈনিকে সাক্ষাৎকারে আপনি (বাপ্পা) সমিতিকে হেয় প্রতিপন্ন এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছন। এমতাবস্থায় গঠনতন্ত্রের ৫ (ক) ধারা মোতাবেক কেন আপনার সদস্যপদ বাতিল করা হবে না পত্রপ্রাপ্তির ৭ কার্যদিবসের মধ্যে উল্লেখিত বিষয়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।’

মূলত গত ২৭ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিক বাপ্পারাজের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে। যেখানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ও শাকিব খানকে নিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি।
এবার পুরো বিষয়টি নিয়ে বুধবার (১৭ মে) বাংলা ট্রিবিউনের কাছে মুখ খুললেন দেশের চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখা কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাক পরিবারের অন্যতম এই উত্তরাধিকারী-
বাংলা ট্রিবিউন: শুনলাম আপনি নোটিশ গ্রহন করেছেন। উত্তরও সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আপনার কাছে শুনতে চাই।
বাপ্পারাজ: না, আমি আসলে চিঠি রিসিভই করিনি। আসলে সরি-টরি বলার কিছু নাই। আর আমি এমন ক্রাইমও করি নাই বা বলি নাই যার জন্য আমাকে মাফ চাইতে হবে। আপনারা (সমিতি) থ্রেট করছেন, আমার সদস্যপদ বাতিল করা হবে। সদস্যপদ বাতিল করে দেবেন তো দেন, নো প্রবলেম। ওটা কিছু যায় আসে না। আমি তো পরিচালক সমিতি থেকে কিছু নিই না। আমি আগে শিল্পী পরে পরিচালক তারপর সমিতি।
বাপ্পারাজ/ ছবি: সংগৃহীত বাংলা ট্রিবিউন: ইদানীং কেউ সমালোচনা করলেই সমিতি থেকে নোটিশ যাচ্ছে বাসায়। নাকি সমালোচনাটা পরিচালক সমিতি নিতে পারছে না?
বাপ্পারাজ: জ্ঞান-বুদ্ধি না থাকলে উত্তর দিতে পারবে কীভাবে? সমালোচনার উত্তর দেওয়ার মতো যে জ্ঞানবুদ্ধি দরকার- তা তাদের নেই। ঐ সাক্ষাৎকারে আমি তাদের খারাপ কিছু বলিনি। পুরোটাই ওদের ফেভারে কথা বলেছিলাম। এটা তো বুঝতে হবে। এটা বোঝার জন্য পেটে বিদ্যা থাকতে হবে।
বাংলা ট্রিবিউন: দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের অভিনেতা আপনার বাবা। তিনি নিজেও পরিচালনা করেছেন। আপনার মতো আপনার ছোট ভাইও  পরিচালনায় যুক্ত। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একধরনের কথা শোনা যাচ্ছে, এই নোটিশের কারণে আপনাদের পুরো পরিবারই সমিতির তোপে পড়তে যাচ্ছে!
বাপ্পারাজ: ওরা এখন চাচ্ছে আবার অশ্লীল ছবি আসুক। শুনলাম বেশ কয়েকজন বিতর্কিত নায়িকাকে নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। আমি নাম বলতে চাই না। তারা ছবি শুরু করে দিয়েছেন। আমাদের সরাতে পারলে রাস্তা পরিষ্কার হয়। যারা কথা বলতে চায়, তাদের সরাতে হবে। এখন যারা সমিতির নেতৃত্বে আছেন তাদের মধ্যে দু’একজন তো তেমনই। বদিউল আলম খোকন এসব ছবির জন্য ব্যান হয়েছিল একবার।
অনেকে বুঝছেন না। সিনিয়ররা ইতোমধ্যে সরে গেছেন।
বাংলা ট্রিবিউন: আপনার কথা ধরেই একটি প্রশ্ন করতে চাই। সবাইকে ব্যান করে পথ যদি পরিষ্কার হয়ই, তাহলে তাদের উদ্দেশ্য সফল। তাহলে একজন শিল্পী হিসেবে আপনার দায়বদ্ধতা কোথায় থাকবে?
বাপ্পারাজ: আমি তো কথা বলবই। আমি তো ফাইট করছিই। এখন লোকজনের আরও এগিয়ে আসা উচিত। মানুষের আরও কথা বলা উচিত। সেটা সংবাদমাধ্যমের আরও বেশি করা উচিত।
বাংলা ট্রিবিউন: কিছুদিন আগে সমিতির সঙ্গে দ্বন্দ্ব হলো শাকিব খানের। একটা সময় শাকিব খান মিডিয়ার সঙ্গে একভাবে কথা বললেন। অনেক কিছু্‌ করার কথা বললেন। কিন্তু সন্ধ্যায় সব ভোজবাজির মতো পাল্টে গেল। তিনি গিয়ে পরিচালকদের সঙ্গে সব ঠিক করে ফেললেন...
বাপ্পারাজ: আমি এগুলো নিয়ে ভাবি না। আমি তো আগেই বলেছি, আমাকে বাদ দিয়ে দাও। আমি তো চিঠি রিসিভই করিনি। আমাকে বাদ দাও। আমার টাকা ফেরত দিয়ে দাও। সদস্য পদের জন্য যে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন তা ফেরত দিয়ে দিন। আর একটা কথা, এদের কাছে মাফ চাইব কেন! এরা কারা?
বাংলা ট্রিবিউন: যদি জানতে চাই, আসলেই এরা কারা?
বাপ্পারাজ: বদিউল আলম খোকন নেতৃত্বে আসার পরই বেশ কয়েকটি বাজে ঘটনা ঘটল। তিনি চাচ্ছেন ইন্ডাস্ট্রি ঐ দিকে যাক। এটা অনেকে বোঝেন না। শাকিব নাই তার (খোকন) আর ছবি নাই। তার যোগ্যতা নাই নিজের পরিচালনায় ভালো ছবি চালানো। এখন তার ওটাই (অশ্লীলতা) করতে হবে। আগের জায়গায় ফিরে আসতে হবে।
আমি আইনি পদক্ষেপ নেব। অবৈধভাবে এফডিসিতে সমিতি ফেঁদে বসে আছে তারা। প্রথম কথা, এখান থেকে তাদের বের হয়ে যেতে হবে। কোনও করপোরেশনের মধ্যে এটা (সমিতি) করা যায় না। সমিতির অফিসটা ইলিগ্যাল। এটা প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত একটা এলাকা। এখানে সমিতি করা যায় না। তারা পাঠাগারের নাম নিয়ে এ জয়াগাটা নিয়েছেন। বই তো কিছুই পড়ে না। ধুলো জমে গেছে বইয়ে। এরপর তারা ওখানে সদস্যপদের নামে চাঁদাবাজি করছেন।
বাপ্পারাজ/ ছবি: সংগৃহীত বাংলা ট্রিবিউন: কিন্তু প্রশ্ন তো আপনার ক্ষেত্রেও উঠতে পারে, আপনি কেন তাহলে এদের সঙ্গে কাজ করলেন এতদিন?
বাপ্পারাজ: ওটা একটা ওপেন সিক্রেট, সবাই জানে। অনেক বৃহত্তর স্বার্থে ছোটখাটো বিষয় মেনে নিতে হয়। তার মানে এই না- এখানে (বিএফডিসি) বসে আপনি যা ইচ্ছে তাই করবেন। যারে ইচ্ছে নিষিদ্ধ করবেন, নোটিশ পাঠাবেন। আপনি কি সরকার পরিচালনা করতে বসেছেন? স্বার্থ  আজ কোন দিকে? তারা আসলে কী চাচ্ছেন? আমাাদের শিল্পী ও পরিচালকের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে?
বাংলা ট্রিবিউন: আর আইনি বিষয়ে কবে সিদ্ধান্ত নেবেন?
বাপ্পারাজ: দেখি তারা আর কী বলে। আইনি ব্যবস্থা অবশ্যই নেব।
 /এম/এমএম/

সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
দেশে শীর্ষে, বৈশ্বিক ট্রেন্ডিংয়ে  ৮১ নম্বরে!
দেশে শীর্ষে, বৈশ্বিক ট্রেন্ডিংয়ে  ৮১ নম্বরে!
রুনা লায়লার নতুন গান, সঙ্গে দুই তরুণ
রুনা লায়লার নতুন গান, সঙ্গে দুই তরুণ
বানসালির ওপর ক্ষুব্ধ এই বাঙালি অভিনেত্রী
বানসালির ওপর ক্ষুব্ধ এই বাঙালি অভিনেত্রী
এক ফ্রেমে এত ‘সুন্দরী’, স্মৃতিকাতর সকলেই!
এক ফ্রেমে এত ‘সুন্দরী’, স্মৃতিকাতর সকলেই!
স্বর্ণপামে ৯ বিচারক: সর্বকনিষ্ঠ আদিবাসী লিলি, আছেন বন্ডকন্যাও
কান উৎসব ২০২৪স্বর্ণপামে ৯ বিচারক: সর্বকনিষ্ঠ আদিবাসী লিলি, আছেন বন্ডকন্যাও