X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১
ঈদ আয়োজন

সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে রাজ্জাক

ওয়ালিউল মুক্তা
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:০৫আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:৪২

স্থিরচিত্রটি সাদাকালো। কিন্তু চিরকালের রঙিন! দুর্লভ। বাঁধাই করে রাখার মতো। সামনাসামনি দুই বাংলার দুই প্রবাদ পুরুষ। একজন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়। অন্যজন বাংলা ছবিতে ‘আলোর মিছিল’ নিয়ে আসা নায়করাজ রাজ্জাক।

সত্যজিৎ রায় ও নায়করাজ রাজ্জাক। ছবিটি সত্তরের দশকের। তুলেছেন সত্যজিতের ছেলে নির্মাতা সন্দীপ রায় সত্তর দশকের ঘটনা। সত্যজিৎ ব্যস্ত ছিলেন ভারতে। অন্যদিকে নায়করাজ ঢাকায় তুমুল দাপুটে অভিনেতা। দু’জনের মধ্যে মিল— উভয়ে চলচ্চিত্রের মানুষ। সাদাকালো ছবিটা দেখে কৌতূহল জাগতে পারে, তারা কি একসঙ্গে কাজ করেছিলেন? না, সত্যজিতের পরিচালনায় কখনও কাজ করা হয়নি রাজ্জাকের।

তাতে কী! দুই দেশের দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে যোগাযোগ হতো নিয়মিতই। এমনকি কলকাতায় গেলে সত্যজিতের সঙ্গে আড্ডায় মশগুল হয়ে উঠতেন রাজ্জাক। সেইসব মুহূর্তেরই একটি এই সাদাকালো ছবিটি।

বাংলা ট্রিবিউনকে ছবিটি দিয়ে এসব সত্যি ঘটনা জানিয়েছেন সত্যজিতের উত্তরসূরি সন্দীপ রায়। ঢাকায় এসে গত ২৪ আগস্ট একটা সকালজুড়ে কথা বলছিলেন গুণী এই নির্মাতা। বাংলাদেশে তার আসার কারণ ‘ফেলুদা’। সেই আড্ডা তার সাক্ষাৎকারে বলা যাবে। একই স্থিরচিত্রে সত্যজিৎ ও রাজ্জাক— এর কাছে সবই যেন তুচ্ছ!

সন্দীপ রায়ের সঙ্গে কথোপকথনের অনেকটা অংশ হয়ে থাকলো নায়করাজ। তখনই তিনি মেলে ধরলেন, দুই খ্যাতিমানের আড্ডা দেওয়ার স্মৃতি। বাংলা ট্রিবিউনের অনুরোধে কলকাতা ফিরেই ই-মেইলে ছবিটি পাঠিয়েছেন সন্দীপ রায়। এটি মূলত কলকাতায় চলচ্চিত্র শিল্পীদের একটি সভা শেষে সত্যজিতের বাসায় তোলা। সেখানেই আড্ডা দিচ্ছিলেন রাজ্জাক।

তখন ঢাকার অনেক শিল্পীকে কলকাতায় নিয়মিতই যেতে দেখেছেন সন্দীপ রায়। তিনি বললেন, ‘চলচ্চিত্র বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে তখন রাজ্জাক সাহেব ওখানে গিয়েছিলেন। বাবাও ছিলেন সেই সভায়। রাতে তিনি আমাদের বাসায় খাওয়া-দাওয়া করলেন। জমিয়ে আড্ডাও হলো। তখন তো আমি ছবি তুলতাম। পত্রিকায় ছাপাও হয়েছে অনেক। বাবা ও রাজ্জাক সাহেবের এ ছবিটি আমারই তোলা।’

সত্যজিতের প্রয়াণ ঘটে ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল। সন্দীপ রায় ঢাকায় আসার তিন দিন আগে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন রাজ্জাক। খবরটা জেনে বিষণ্ন লেগেছে তার— ‘রাজ্জাক সাহেব নেই, এ খবরটা ঢাকায় এসেই শুনলাম। তিনি এককথায় ছিমছাম মানুষ ছিলেন। এত বড়মাপের একজন অভিনেতা, অথচ মানুষ হিসেবে সহজ দেখেছি তাকে। অসম্ভব আড্ডাবাজ আর ভীষণ মিশুক ছিলেন। সত্যিকার অর্থেই তিনি নায়করাজ।’

/এম/জেএইচ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
প্রেক্ষাগৃহ থেকে না নামতেই উঠলো পাঠ্যসূচিতে!
প্রেক্ষাগৃহ থেকে না নামতেই উঠলো পাঠ্যসূচিতে!
গানে গানে সরকারের সমালোচনা, ইরানি গায়কের মৃত্যুদণ্ড
গানে গানে সরকারের সমালোচনা, ইরানি গায়কের মৃত্যুদণ্ড
ঢাকাই নির্বাক ছবির মস্কো জয়, যেমনটা বললেন নির্মাতা
ঢাকাই নির্বাক ছবির মস্কো জয়, যেমনটা বললেন নির্মাতা
ফুরফুরে মেজাজে পান্নু
ফুরফুরে মেজাজে পান্নু