অনুমতি ছাড়া ‘মাইলস’ নামটি ব্যবহার না করার জন্য নিজের ভাই হামিন আহমেদসহ ব্যান্ডের অন্য সদস্যদের নোটিশ পাঠান শাফিন আহমেদ। এরপর এ নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনও করেন তিনি। দাবি করেন, মাইলস এখন লিমিটেড কোম্পানি। ইচ্ছা করলেই এখন আর যে কেউ নামটি ব্যবহার করতে পারবে না।
শাফিন আহমেদের সাম্প্রতিক এমন বক্তব্যের বিপরীতে ২৭ ডিসেম্বর মাইলস-এর ফেসবুক পেইজে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত জবাব দিলেন ব্যান্ডটির অন্য চার সদস্য- হামিন আহমেদ, মানাম আহমেদ, তূর্য ও আসিফ জুয়েল ।
ইংরেজিতে দেওয়া সেই বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ এমন-
১.
মাইলস কখনওই ‘মাইলস ব্যান্ড লি.’ নয়। ব্যান্ডটির ৩৮ বছরের ইতিহাস আছে। দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে নামটি সমানভাবে পরিচিত। ‘মাইলস ব্যান্ড লি.’ বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হয়েছে মাত্র এক মাস আগে। ঘোষণার পূর্বে এ নামটি কেউ শোনেনি।
২.
১৯৯৩ সালে হামিন আহমেদের নামে নিবন্ধিত হয় মাইলস। আর ‘মাইলস ব্যান্ড লি.’ নিবন্ধিত হয়েছে মাত্র এক মাস আগে। এটা প্রতারণামূলক এবং সুযোগসন্ধানী দাবি।
৩.
শাফিন আহমেদ মাইলসের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য নন। ব্যান্ডের তৃতীয় লাইনআপে হামিন আহমেদের সুপারিশে তাকে ব্যান্ডে নেওয়া হয়। মাইলস গড়ে উঠেছে ফরিদ রশিদের হাতে। প্রথম লাইনআপের সদস্যরা হলেন ফরিদ, কামাল, ল্যারি, মুসা, ইশতিয়াক, রবিন ও হ্যাপি। দ্বিতীয় লাইনআপে ছিলেন ফরিদ, কামাল, মুসা, ইশতিয়াক, রবিন, হ্যাপি ও হামিন। তৃতীয় লাইনআপে যোগ দেন শাফিন। তারপর আসেন মানাম। শাফিন টানা পাঁচ বছর লন্ডনে থাকার সময়ও মাইলস পুরোদমে কাজ করেছে। তাকে ছাড়া এই পাঁচ বছর অন্তত ১০০টি একক শো করেছে মাইলস। শাফিন লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পর হামিন ও মানামই তাকে নতুনভাবে আবার ব্যান্ডে যোগদান করান।
৪.
‘অধিকাংশ গান আমার’—শাফিনের এই কথাটি পুরোপুরি মিথ্যা। মাইলসের হয়ে মাত্র ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শাফিন।
৫.
‘চাঁদ-তারা’, ‘ধিকিধিকি’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘পিয়াসি মন’, ‘ভুলবো না তোমাকে’সহ মাইলসের অনেক জনপ্রিয় গানের সুর-সংগীত মানাম আহমেদের করা। এই গানগুলো গেয়েই শাফিন আহমেদ আজকের অবস্থানে এসেছেন।
এই পাঁচটি মন্তব্যের শেষে ‘মাইলস’ সদস্যরা সবার উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘অনুরোধ জানাচ্ছি, উপরে উল্লেখিত তথ্য বিবেচনায় নিয়ে আপনারা শাফিন আহমেদকে ব্যক্তিগত সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে তার মিথ্যা ও বানোয়াট কথার ব্যাপারে সতর্ক হবেন। সহযোগিতা করার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।’