খারাপের দিকে যাচ্ছে জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী নির্মাতা আমজাদ হোসেনের শারীরিক অবস্থা। লাইফ সাপোর্টে থাকা এই বরেণ্য ব্যক্তিত্বের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমপালস হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট শহিদুল্লাহ সবুজ।
গতকাল (১৮ অক্টোবর) থেকে হাসপাতালটির আইসিইউতে আছেন আমজাদ হোসেন। চিকিৎসক শহিদুল্লাহ সবুজ আজ বিকাল ৪টায় সাংবাদিকদের জানান, আমজাদ হোসেনকে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এরপরও তার অবস্থার কোনও উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। বরং গতকালের চেয়ে অবস্থার অবনতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ নির্মাতার ব্রেনের রক্তনালী বন্ধ হয়ে গিয়ে স্ট্রোক হয়েছে। এর আগে তার হার্টের রিদমে অসুবিধা ছিল। সেখান থেকে স্ট্রোকের উৎপত্তি হয়েছে, ব্রেনের দুপাশেই বড় রক্তনালী বন্ধ হওয়ার স্ট্রোক হয়েছে। এ অবস্থায় বিপদ মুক্ত হওয়ার চান্স খুবই কম থাকে।’
হাসপাতালে আছেন ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক, আমজাদ হোসেনের দুই সন্তান সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও সোহেল আরমান। চিকিৎসকদের বিফ্রিংয়ের সময় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
রবিবার সকালে নিজ বাসভবনে আমজাদ হোসেন ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাকে দ্রুত রাজধানীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার চিকিৎসার তত্ত্বাবধান করছেন হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের চিকিৎসক মহিউদ্দিন।
এই চিকিৎসক গতকাল জানান, আমজাদ হোসেন ঘুমের মধ্যেই স্ট্রোক করে খাট থেকে পড়ে যান। বড় আকারে স্ট্রোকের কারণে তিনি ঝুঁকির মধ্যেও আছেন। এরপর উনার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করতে হতে পারে। ৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সুকুমভিত হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন তিনি। সে সময় তার ক্ষুদ্রান্ত্রে দুটি সফল অস্ত্রোপচার হয়েছিল।
৭৬ বছর বয়সী এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব নানা ধরনের কাজের জন্য সমাদৃত। একধারে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনা, প্রযোজনা, গল্প, অভিনেতা, গীতিকার ও সাহিত্যিক হিসেবে কাজ করছেন।
তিনি একাধিক চলচ্চিত্র জাতীয় পুরস্কারের সম্মান পেয়েছেন। নিজের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ একাধিক রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
