X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাবার অবস্থা স্থিতিশীল নয়: সোহেল আরমান

বিনোদন রিপোর্ট
০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০৬আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:০৩

আমজাদ হোসেন দেশবরেণ্য চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের চিকিৎসা চলছে ব্যাংককের বামারুনগ্রাদ হাসপাতালে। বাংলাদেশের মতোই সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাকে।
তবে দেশের চেয়ে সেখানে তার অবস্থা কিছুটা ভালো বলেই মনে করা হচ্ছে। ব্রেন ছাড়া বাকি অংশগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
বিষয়টি নিয়ে ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাংলা ট্রিবিউন প্রতিবেদকের কথা হয়েছে ব্যাংককে অবস্থানরত আমজাদ হোসেনের ছেলে সোহেল আরমানের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘আমি তো মেডিকেল টার্মগুলো অতটা বুঝি না। তাই ব্যাখ্যা করাটা আমার জন্য কঠিন। তবে এটুকু বুঝতে পারছি, বাবার ব্রেন ডেমেজ ছাড়া অন্য অর্গানগুলো স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেক সময় এটা করা যাচ্ছে, অনেক সময় হচ্ছে না। তবে বেশিরভাগ সময়ই এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে। আমরা দুই ভাই রাত-দিন বাবার অপেক্ষায় বসে আছি, তার অবস্থা স্থিতিশীল নয়। বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় গত ১৮ নভেম্বর রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আমজাদ হোসেনকে। সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ও অর্থায়নে তাকে ২৭ নভেম্বর মধ্যরাতে ব্যাংককে নেওয়া হয়। এখন বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। সেখানে আমজাদ হোসেনের সঙ্গে আছেন তার দুই ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও সোহেল আরমান।
৭৬ বছর বয়সী এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব নানা ধরনের কাজের জন্য সমাদৃত। একাধারে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনা, প্রযোজনা, অভিনেতা, গীতিকার ও সাহিত্যিক হিসেবে কাজ করছেন।
গুণী এই পরিচালক ১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া শিশুসাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশুসাহিত্য পুরস্কার এবং ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
বাবাকে নিয়ে ঢাকা ছাড়ার আগে দুই ভাইয়ের সেলফি, সোহেল আরমান ও সাজ্জাদ হোসেন দোদুল কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ একাধিক রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
আমজাদ হোসেন ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি সাহিত্যের অনুরাগী ছিলেন। পঞ্চাশের দশকে ঢাকায় এসে সাহিত্য ও নাট্যচর্চার সঙ্গে জড়িত হন।
তার নির্মিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমণি’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’, ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ প্রভৃতি।

/এম/এমএম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
প্রেক্ষাগৃহ থেকে না নামতেই উঠলো পাঠ্যসূচিতে!
প্রেক্ষাগৃহ থেকে না নামতেই উঠলো পাঠ্যসূচিতে!
গানে গানে সরকারের সমালোচনা, ইরানি গায়কের মৃত্যুদণ্ড
গানে গানে সরকারের সমালোচনা, ইরানি গায়কের মৃত্যুদণ্ড
ঢাকাই নির্বাক ছবির মস্কো জয়, যেমনটা বললেন নির্মাতা
ঢাকাই নির্বাক ছবির মস্কো জয়, যেমনটা বললেন নির্মাতা
ফুরফুরে মেজাজে পান্নু
ফুরফুরে মেজাজে পান্নু