X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

কণ্ঠশিল্পী সালমার স্বামী কারাগারে

কক্সবাজার প্রতিনিধি
০৩ জুলাই ২০১৯, ২০:০৫আপডেট : ০৪ জুলাই ২০১৯, ১৪:১৬

সালমা ও সাগর যৌতুক ও মারধরের অভিযোগে প্রথম স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় ক্লোজআপ ওয়ান তারকা মৌসুমী আক্তার সালমার দ্বিতীয় স্বামী সালাউল্লাহ নূরী সাগরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক মো. নুর ইসলাম।
জানা যায়, সালাউল্লাহ ২০১৪ সালে কক্সবাজার শহরের টেকপাড়া এলাকার অধ্যাপক আখতার আলমের মেয়ে তাসনিয়া মুনিয়াত পুষ্পীকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে নানা অজুহাতে প্রথম স্ত্রীর পরিবার থেকে যৌতুক আদায় ও মারধর করেন। তাকে না জানিয়ে কণ্ঠশিল্পী সালমাকে বিয়ে করার অভিযোগও সাগরের বিরুদ্ধে আনা হয়। সবকিছু উল্লেখ করে ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বরে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১-এ একটি মামলা করা হয়। এটি করেছেন তার প্রথম স্ত্রীর মা দিলারা খানম।

সালমা-সাগর মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সানাউল্লাহ নূরী ওরফে সাগর ২০ লাখ টাকা দেনমোহর ২০১৪ সালের ৩ জুলাই কক্সবাজার শহরের পূর্ব টেকপাড়া নিবাসী কক্সবাজার কমার্স কলেজের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আখতার আলম ও দিলারা খানমের কন্যা তাসনিয়া মুনিয়াত ওরফে পুষ্পীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সাগর তার স্ত্রী থেকে যৌতুক দাবি করলে বিভিন্ন কিস্তিতে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদে ও চেকে সাগরকে প্রদান করা হয়। ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে সানাউল্লাহ নূরী সাগর তার স্ত্রী তাসনিয়াকে বেদম মারধরপূর্বক আহত করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে আক্রান্তকে চিকিৎসা করানো হয়। এ ঘটনায় তাসনিয়া মুনিয়াতের মা বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন- সানাউল্লাহ নূরী সাগর, তার বাবা সাখাওয়াত হোসেন ও মা সুরাইয়া।
বিচারক দায়েরকৃত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কক্সবাজারের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে মামলার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া যায়। প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ১ নম্বর আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর আসামিরা জামিনে ছিলেন। এর মেয়াদ শেষ হলেও আসামিরা আত্মসমর্পণ করেননি। তাই একমাস পর বুধবার ৩ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. নূর ইসলামের আদালতে জামিন চেয়ে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক শুনানি শেষে সানাউল্লাহ নূরী সাগরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। অপর দুই আসামি সানাউল্লাহ নূরী সাগরের পিতা সাখাওয়াত হোসেন ও  মা সুরাইয়া হোসেনকে ১০ হাজার টাকা বন্ডে জামিন প্রদান করেন।
কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী নুরুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, যৌতুকের মামলায় প্রধান আসামি সানাউল্লাহ নূরী ওরফে সাগর হাইকোর্টের জামিনে ছিল। কিন্তু তার জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নিম্ন আদালতে অর্থাৎ কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর কণ্ঠশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমার সঙ্গে বিয়ে হয় সানাউল্লাহ নুরী সাগরের। গত ১৭ জানুয়ারি রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে নতুন সম্পর্কের কথা বলেন তিনি। সালমা সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘ক্লোজআপ ওয়ান– তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’-এর দ্বিতীয় আসরের বিজয়ী ছিলেন। এরপর থেকে তিনি নিয়মিতই গানের সঙ্গে যুক্ত রেখেছেন নিজেকে। ২০১১ সালে পারিবারিকভাবে তার প্রথম বিয়ে হয় দিনাজপুর-৬ আসনের সরকারদলীয় এমপি শিবলী সাদিকের সঙ্গে। তাদের সংসারে আসে একমাত্র কন্যা স্নেহা। ২০১৬ সালে বনিবনা না হওয়ায় সেই সংসারে বিচ্ছেদ ঘটে।

/এম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে
সাংবাদিক হতে চেয়ে অভিনেত্রী!
সাংবাদিক হতে চেয়ে অভিনেত্রী!
মুবিতে মুক্তি দেশি মুভি
মুবিতে মুক্তি দেশি মুভি
মে দিবসে ফুঁসে উঠলেন সিনেমা শ্রমিকরা
মে দিবসে ফুঁসে উঠলেন সিনেমা শ্রমিকরা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা