মাহির বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ!

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহির বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুললেন তার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘অবতার’-এর পরিচালক মাহমুদ হাসান শিকদার।
মাদকাসক্তির কুফল নিয়ে নির্মিত এ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাহি। আর সে কারণে গানে ব্যবহৃত পোশাকের জন্য লাখ টাকা নিলেও পুরনো পোশাকেই শুটিং করেছেন বলে অভিযোগ করেন নির্মাতা মাহমুদ হাসান শিকদার। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির গানের পোশাকও মডিফাই করে ব্যবহারের অভিযোগ করেন তিনি।
ড্রেসপ্রতি ২৫ হাজার করে একটি গানের জন্য ৭৫ হাজার ও অপর গানের জন্য ৮০ হাজার টাকা নিলেও শুটিংয়ে পুরনো পোশাক পরেছেন মাহি। গানের জন্য সর্বমোট ৮টি পোশাকে গড়ে ২০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন তিনি।
পরিচালক বলেন, ‘‘শুটিংয়ের আগেই মাহি দুটি গানের ড্রেসের দায়িত্ব নিয়ে নেন। আমি বললাম, শিল্পী কোন ড্রেস পরবেন তা আমি জানবো না? তিনি বলেন শুটিংয়ের আগে দেখাবেন। তবে শুটিংয়ের আগে এসে তিনি প্যাকেট খোলা মাত্র একটা ড্রেস দেখিয়েছেন। তারও কোনও রসিদ নেই। দেখেই মনে হয়েছে পুরনো জামা। এমনকি ছেঁড়া জামা পরেও শুটিং করেছেন তিনি।’’
জানান, এছাড়া দৃশ্যের জন্য ৩০টি পোশাক ডিজাইন করলেও তা মাহি ব্যবহার না করে প্রডাকশনের টাকায় নিজের মতো করে পোশাক কিনেছেন। যা ফেরতও দেননি তিনি। আর ইউনিটে মাহি থাকতেন প্রায় ১০ জনের টিম নিয়ে। যার খরচ বহন করতে হতো প্রযোজককে।
শুটিংয়ে চুক্তি বাবদ ১০ লাখের বাইরেও এমন আরও অনেক টাকা মাহিকে দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরিচালক।
তখন প্রতিবাদ না করার কারণ হিসেবে এই নির্মাতা বলেন, ‘কিছু বললেই ইস্যু তৈরি করেন নায়িকা। তাই চেয়েছি ছবির কাজ শেষ করতে। আর ইস্যুর তো শেষ নেই। কিছু হলেই টাকা। উত্তরা থেকে আশুলিয়া তার গাড়িতে গেছেন, এ জন্য ৪ হাজার টাকার খরচ! মানিকগঞ্জে যাওয়ার জন্য ৮ হাজার টাকার তেল নাকি লেগেছে!’
এদিকে মাহি এখন কক্সবাজারে একটি শোয়ের জন্য অবস্থান করছেন। তার মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি কোনও সাড়া দেননি।
এদিকে এমন অসংখ্য অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচালক, প্রযোজক ও শিল্পী সমিতিসহ ১৮টি চলচ্চিত্র সংগঠনের সমন্বয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে সম্প্রতি। সেখানে বলা হয়েছে, পোশাকের জন্য কোনও শিল্পী আলাদা টাকা নিতে পারবেন না। তাদের পোশাক প্রোডাকশন থেকেই তৈরি করে দেওয়া হবে।
আর শুটিং শেষে সব পোশাক শিল্পীকে প্রোডাকশনের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। এই নিয়ম চলতি বছর ১ নভেম্বর থেকে চালু হয়েছে। পাশাপাশি সেখানে আরও বলা হয়েছে, কোনও শিল্পী এক লাখ টাকার ওপরে পারিশ্রমিক নিলে সে কোনও প্রকার কনভেন্স (যাতায়াত ভাতা) পাবেন না।