X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

চলে গেলেন হলিউডের ‘স্পার্টাকাস’

বিনোদন ডেস্ক
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:০০আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০২

‘স্পার্টাকাস’ ছবিতে কার্ক ডগলাস বড় পর্দায় গ্লাডিয়েটর, কাউবয় ও বক্সারদের সঙ্গে বুক চিতিয়ে লড়েছেন। হলিউডের সোনালি সময়ের প্রভাবশালী অভিনেতাদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম। সেই কার্ক ডগলাস আর নেই। বুধবার (৫ জানুয়ারি) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর।

কার্ক ডগলাসের ছেলে অস্কার জয়ী অভিনেতা মাইকেল ডগলাস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে, কার্ক ডগলাস আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। বিশ্বের কাছে তিনি ছিলেন কিংবদন্তি, চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগের একজন অভিনেতা। তার অভিনয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমার দুই ভাই জোয়েল ও পিটার আর আমার কাছে তিনি সাধারন একজন বাবা। তিনি ছিলেন ন্যায়বিচারের পক্ষে সোচ্চার ও জনদরদি। তার গত জন্মদিনে তাকে যা বলেছিলাম সেটাই চিরকালের সত্য- তোমাকে অনেক ভালোবাসি এবং তোমার ছেলে হয়ে আমি গর্বিত।’

ছেলে মাইকেল ডগলাস ও নাতির সঙ্গে কার্ক ডগলাস মাইকেল ডগলাসের স্ত্রী অভিনেত্রী ক্যাথেরিন জেটা-জোন্স ইনস্টাগ্রামে শ্বশুরের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার প্রেমিক কার্ককে বলছি, জীবনের বাকিটা সময় তোমাকে ভালোবেসে যাবো। তোমার শূন্যতা অনুভব করছি। ভালোভাবে ঘুমিও।’

চল্লিশের দশক থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ছয় দশকের ক্যারিয়ারে মঞ্চ ও চলচ্চিত্রে কালজয়ী অভিনয় নেপুণ্য দেখিয়েছেন কার্ক ডগলাস। এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য স্ট্যানলি কুবরিকের ষাটের দশকের ধ্রুপদী ছবি ‘স্পার্টাকাস’। এতে নাম ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। এটি চারটি বিভাগে অস্কার জেতে। এ ছবির সংলাপ ‘আই অ্যাম স্পার্টাকাস’ তো পপ সংস্কৃতির অভিধানে ঢুকে পড়েছে।

কার্ক ডগলাসের মৃত্যুতে হলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারকারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম অভিনেতা হিউ জ্যাকম্যান, ড্যানি ডেভিটো, ব্রায়ান ক্র্যানস্টন, অভিনেতা-পরিচালক রব রেইনার, অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন, জেমি লি কার্টিস, মিৎজি গেইনর।

১৯৫৫ সালে কার্ক ডগলাস ১৯১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কার্ক ডগলাস। হলিউডের সোনালি সময়ে মহাতারকা হয়ে ওঠেন তিনি। ১৯৪৯ সালে বক্সিং নিয়ে নির্মিত মার্ক রবসনের ‘চ্যাম্পিয়ন’ ছবির মাধ্যমে অস্কারে প্রথম মনোনয়ন আসে তার হাতে। এরপর ভিনসেন্তে মিনেল্লির ‘দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য বিউটিফুল’ (১৯৫২) ও ‘লাস্ট ফর লাইফ’ (১৯৫৬) তাকে আরও দু’বার অস্কার মনোনয়ন এনে দেয়। এর মধ্যে ‘লাস্ট ফর লাইফ’ ছবিতে ডাচ চিত্রশিল্পী ভিনসেন্ত ভ্যান গগের চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।

পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বক্স অফিসে সবচেয়ে সফল তারকাদের অন্যতম ছিলেন কার্ক ডগলাস। ক্যারিয়ারে ৯০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এ তালিকায় আরও উল্লেখযোগ্য ‘এইস ইন দ্য হোল’, ‘অ্যাক্ট অব লাভ’, ‘টু থাউজেন্ড লিগ আন্ডার দ্য সি’ ইত্যাদি। ১৯৯৬ সালে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের সম্মানসূচক অস্কারে ভূষিত হন তিনি।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, টাইমস অব ইন্ডিয়া

/জেএইচ/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
‘দেওরা’ সফলতার পর ‘মা লো মা’ চমক
‘দেওরা’ সফলতার পর ‘মা লো মা’ চমক
জন্ম আর মৃত্যুর সুরেলা মেলবন্ধনের প্রতিধ্বনি
৩৫তম জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসবজন্ম আর মৃত্যুর সুরেলা মেলবন্ধনের প্রতিধ্বনি
যে গল্পের জন্ম ওষুধের দোকান থেকে!
যে গল্পের জন্ম ওষুধের দোকান থেকে!
উদ্বোধক মেরিল স্ট্রিপ, পাচ্ছেন স্বর্ণপাম
কান উৎসব ২০২৪উদ্বোধক মেরিল স্ট্রিপ, পাচ্ছেন স্বর্ণপাম
ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র
ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র