X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

রানা প্লাজা বিপর্যয়ের পর শুধু সিনেমাই করতে চেয়েছিলেন অনন্ত

বিনোদন রিপোর্ট
১৬ মে ২০২০, ১৫:১১আপডেট : ১৬ মে ২০২০, ২০:৩৪

অনন্ত জলিল

চিত্রনায়ক ও প্রযোজকের বাইরেও অনন্ত জলিলের বড় পরিচয় তিনি একাধিকবার সিআইপিপ্রাপ্ত (কমার্শিয়াল ইমপর্টেন্ট পারসন) গার্মেন্ট ব্যবসায়ী।

তার প্রতিষ্ঠিত এজেআই গ্রুপের সুনাম বিশ্বজোড়া। তবে একসময় হতাশায় নিজের গার্মেন্ট ব্যবসা বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
চেয়েছিলেন, শুধু বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয় করেই দিনানিপাত করতে!
কারণটা ছিল রানা প্লাজা বিপর্যয়ের পর আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান বায়ারদের সংগঠন অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের অযাচিত সিদ্ধান্ত।

এই চিত্রনায়ক নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে এগুলো তুলে ধরেন। বলেন, ‌‘আমাদের দেশে গার্মেন্ট সেক্টরের দুর্দিন শুরু হয় মূলত রানা প্লাজা ধসের পর থেকে। সেখানে শপিং সেন্টার ছিল, সঙ্গে কিছু কারখানাও। রানা প্লাজা ধসের পর ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। এ কারণে পুরো পৃথিবীতেই আমাদের গার্মেন্ট সেক্টর নিয়ে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়। চরম ইমেজ সংকটে ভোগে বাংলাদেশ।

পরবর্তী সময়ে দেশে আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান বায়ারদের সংগঠন অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের আবির্ভাব ঘটে। সংগঠন দুটি বিল্ডিং সেফটি, ফায়ার সেফটি ও ইলেকট্রিক সেফটি অডিট পরিচালনার করার নামে ফ্যাক্টরিগুলো ব্যাপক সংস্কারের কাজে হাত দেয়। এই কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করতে গিয়ে মালিকদের কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয়।’
তিনি জানান, এই প্রতিষ্ঠান দুটির বিতর্কিত কিছু সিদ্ধান্তের কারণে অনেক মালিক আজ সর্বস্বান্ত। একসময়ের মালিক এখন জীবিকার তাগিদে অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।
তারা আসার আগে একটি বিখ্যাত বায়ার ব্যান্ডের কথামতো অনন্তর প্রতিষ্ঠানে সংস্কার ও অনেক কিছু স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স এগুলো বাতিল করে।

নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে অনন্ত আরও বলেন, ‘আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান এই দুটি প্রতিষ্ঠানের কথা অনুযায়ী আমার একটি পাঁচতলা বিল্ডিং সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলি, দু’টি ৮ তলা বিল্ডিংয়ের একটি করে ফ্লোর ভেঙে ফেলি। এমনকি একটি দোতলা বিল্ডিংয়ের একটি ফ্লোর ভেঙে ফেলি, সব মিলিয়ে ৪২ হাজার বর্গফুট বিল্ডিং ভাঙা হয়। আরও খরচ হয় ১৮ কোটি টাকা। এই সময় মনে হয়েছিল, সমস্ত গার্মেন্টস ব্যবসা বন্ধ করে নিয়মিত কমার্শিয়াল সিনেমা করি। কারণ, তখনকার এই দেড় বছর সময় প্রতিটা মিনিট কীভাবে কেটেছে তা সহ্য করার ক্ষমতা ছিল না। সে মুহূর্তগুলো বলেও আপনাদের বোঝাতে সম্ভব নয়।’

তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, ‘একজন উদ্যোক্তা যখন ব্যবসা শুরু করেন, তাকে ৩০ থেকে ৬০ কেজি ওজনের ব্যাগভর্তি স্যাম্পল নিয়ে বায়ারদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হয়। দেশ ও ফ্যাক্টরি সম্পর্কে ভালো ভালো কথা বলে বায়ারের মন জয়ের চেষ্টা করতে হয়। এভাবে অন্তত এক বছর চলে যায় বায়ারদের মন জয় করতে। এই সময়ে তাকে সমস্ত পুঁজি, সমস্ত সম্পত্তি এমনকি স্ত্রীর গহনা যা থাকে সব বিক্রি করে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠার পেছনে ঢেলে দিতে হয়।’

তাই তিনি আহ্বান জানান, দেশের অর্থনীতিতে যাদের কোনও অবদান নেই, তারা যেন শুধু উপদেশ দিতে না আসেন। সেটা আদার বেপারি হয়ে জাহাজের খোঁজ নেওয়া হয়ে যায় বলে দাবি করেন তিনি।

২০১০ সালে ‘খোঁজ-দ্যা সার্চ’ চলচ্চিত্র দিয়ে রুপালি পর্দায় আসেন অনন্ত। এখন পর্যন্ত তার ৬টি ছবি মুক্তি পেয়েছে।
এদিকে, অনন্ত এখন ব্যস্ত তার নতুন ছবি ‘দিন: দ্য ডে’-এর মুক্তি নিয়ে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ইরানের পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজম। দেশটির সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে এটি।



/এম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
ঢাকায় পুনর্মিলন সেরে ক্যাঙ্গারুর দেশে...
ঢাকায় পুনর্মিলন সেরে ক্যাঙ্গারুর দেশে...
ঢাকার জ্যাম আর গরম নিয়ে প্রেমের গান!
ঢাকার জ্যাম আর গরম নিয়ে প্রেমের গান!
তামান্নার শুভ সূচনা
তামান্নার শুভ সূচনা
ওটিটিতে মঞ্চনাটক ‘নেতা যে রাতে নিহত হলেন’
ওটিটিতে মঞ্চনাটক ‘নেতা যে রাতে নিহত হলেন’
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান!
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান!