১৯৪৭ সালের দেশভাগ নিয়ে নির্মিত তানভীর মোকাম্মেলের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘সীমান্তরেখা’ গেছে ভারতীয় উৎসবে।
ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার (পূর্ব) আয়োজনে এফএফএসআই নামের অনলাইনভিত্তিক এ উৎসবের চতুর্থ পর্ব শুরু হয়েছে ২৯ জুন। চলবে সাত দিন।
এতে ‘সীমান্তরেখা’ ছাড়াও বাংলাদেশের আরেকটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দেখানো হচ্ছে। সেটি হলো নাসির উদ্দিন ইউসুফের ‘আলফা’।
এগুলোর মধ্যে অন্যতম সুবর্ণা সেঁজুতির ‘মীনালাপ’, রঞ্জন ঘোষ পরিচালিত ও আরিফিন শুভ-ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের ‘আহা রে’ ও সুব্রত সেনের ‘কালি’।
সাতচল্লিশের দেশভাগ নিয়ে ‘সীমান্তরেখা’। কিনো-আই ফিল্মস প্রযোজিত দুই ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের এই প্রামাণ্যচিত্রে উঠে এসেছে বাংলা ভাগের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্যগুলো।
এটি নির্মাণ প্রসঙ্গে তানভীর মোকাম্মেল বলেন, “১৯৪৭ সালের ‘বাংলা ভাগ’ কি সত্যিই অপরিহার্য ছিল? বিকল্প কি ছিল না? ভাগ করে বাঙালি জাতির লাভ হয়েছে না ক্ষতি? দেশ ভাগের সত্তর বছর পর আজ হয়তো এসব প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে। এসব বিষয় নিয়েই আমি ‘সীমান্তরেখা’-নামে দুই ঘণ্টার এই গবেষণাধর্মী প্রামাণ্যচিত্রটি তৈরি করেছি।”
ছবিটির দৃশ্যধারণ হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতে। স্থানগুলোর মধ্যে আছে বাংলাদেশের ঢাকা, রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া, বরিশাল, খুলনা, যশোর ও বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা এবং ভারতের কলকাতা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, ত্রিপুরার আগরতলা ও কৈলাশহর, আসামের করিমগঞ্জ, শিলচর ও ধুবড়ি।
উৎসবের ছবিগুলো দেখা যাবে ফ্রি, নিম্মের লিংকে প্রবেশ করে: